বয়েজ হস্টেলের ঠিক উল্টো ছবি যাদবপুরের গার্লস হস্টেলে

যাদবপুরের বয়েজ হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় বঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শিক্ষাঙ্গন, ঠিক সেই সময়ে এক একেবারে উল্টো ছবি ধরা পড়ল যাদবপুরেক গার্লস হস্টেলে।

সূত্রের খবর, গার্লস হস্টেলে রয়েছে কড়া নিয়ম। কঠোরভাবে মানা হয় ঢোকা-বেরনোর রেজিস্টার। রাত ১০ টার মধ্যে ঢুকতেই হয় হস্টেলে। কোনও দিন রাতে দেরি করে ঢুকতে হলে আগে থেকে জানাতে হয় হস্টেল সুপারকে। হস্টেলের আবাসিকদের কাছ থেকে এ খবরও মিলেছে যে, পরিবার থেকে এসে শুধু থাকতে পারেন মা আর বোন। কোনও পুরুষের থাকার অনুমতি নেই হস্টেলে। একইসঙ্গে, হস্টেলে মাঝে মাঝেই টহল দেন হস্টেলের সুপার। খতিয়ে দেখেন যাবতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কোথাও কোনও খামতি দেখলেই তৎক্ষণাৎ নেন ব্যবস্থা।

অন্যদিকে ছাত্রমৃত্যুর পর থেকেই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে মেইন হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকী আগেও যে লাগাতার ব়্য়াগিংয়ের অভিযোগ এসেছে তা উঠেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও। প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। লালবাজারের তলবের মুখে পড়েছিলেন ডিন অফ স্টুডেন্টস, রেজিস্ট্রার। এমনকী ঘটনার পর এই মেইন হস্টেলে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। তদন্তে উঠে এসেছে ‘হস্টেল বাপেদের’ কথা। সুপার থাকতেও কী করে হস্টেলে প্রাক্তনীদের দাপট চলে সেই প্রশ্নও উঠেছে নানা মহলে। উঠেছে সিসিটিভি বসানোর দাবি। সেখানে এই যাদবপুরেই গার্লস হস্টেল যেন গড়ে তুলেছে শৃঙ্খলার এক অনন্য নজির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =