চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা রুজু পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার কসবার ডিআই অফিসের তরফে অভিযোগ জানানো হয় কসবা থানায়। এরপর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। একটি মামলা পুলিশের তরফে করা হয়েছে ও অন্য মামলা ডিআই অফিসের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় সরব বিরোধী শিবির। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, ‘চাকরি খেয়েছে তারপর পেটে-পিঠে লাঠি। এবার ওদের জেলেও ঢোকাবে। লজ্জার কথা এই পুলিশ ছ’মাস আগে ডাক্তারদের পিছনে লেগেছিল। আজ এই পুলিশ মাস্টারদের পিছনে লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রী ভুলে গেলে যে ২৬ হাজারকে লাঠিপেটা করলেন তাদের একটা বিরাট অংশ ভোট দিয়েছেন।’ সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন,’এই ন’বছরে যারা চুরি করেছে, সেই চোরের গায়ে পুলিশের একটাও আঁচড় লাগল না। আর মার খেলেন শিক্ষকরা। এর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পুলিশের চরিত্র বোঝ যায়।’ প্রসঙ্গত, বুধবার সিপি-র বলেছিলেন, ‘পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে। চার জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। দু’জন মহিলা পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। আমাদের কাছে সেইসব ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে।” লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে সিপি-র বক্তব্য, “পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’ তবে সিপি ‘মৃদু’ লাঠিচার্জ বললেও দেখা গেল জামা-প্যান্ট খুলে এক শিক্ষক দেখান কীভাবে মেরে-মেরে কালশিঠে দাগ ফেলে দেওয়া হয়েছে।