তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত স্কুটারের সন্ধান পেল পুলিশ। এই স্কুটার ব্যবহার করেই পালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। মঙ্গলবার বন্ডেলগেট এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই স্কুটারের হদিশ মেলে। লালবাজার সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতাকে হামলা করার অন্তত সাতদিন আগে এই স্কুটার কেনা হয়েছিল। তার আসল মালিকেরও খোঁজ পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধেয় কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলের অদূরে নিজের বাড়ির সামনে আততায়ী হামলার মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। বন্দুক থেকে গুলি বের না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান কাউন্সিলর। তবে তাঁকে হামলা করার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। একজন শুটার যুবরাজ এবং অন্যজন আফরোজ ওরফে গুলজার। এই স্কুটারটি গুলজারই ব্যবহার করেছিল বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনার দিনের যে সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছিল তাতে দেখা গেছিল, একটি স্কুটার করে এসেছিল দুই দুষ্কৃতী। সুশান্ত ঘোষকে মারতে ব্যর্থ হওয়ার পর যুবরাজকে ধরে ফেলে স্থানীয়রা। তবে অন্যজন স্কুটার নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওই স্কুটারের খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। অবশেষে সেটি বন্ডেল গেট থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গুলজারকে জেরা করেই এই স্কুটারের খোঁজ পেয়েছিল পুলিশ। তবে যে সেদিন স্কুটার নিয়ে পালিয়েছিল তাকে এখনও ধরতে পারেনি তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে, হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্ররও খোঁজ মেলেনি। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে পুলিশের কাছে আফরোজ দাবি করেছিল, সুশান্ত ঘোষের অনুগামী হায়দার সম্প্রতি তাঁর জমি দখল করে ফ্ল্যাট বানানোর উদ্যোগ নেয়। এটা মানতে পারেনি আফরোজ। কিন্তু কাউন্সিলরের ভয়ে কিছু করতে না পেরে মুঙ্গের থেকে সুপারি কিলার ভাড়া করে সে। চক্রান্ত করে সুশান্ত ঘোষকে ‘দুনিয়া’ থেকে সরিয়ে দেওয়ার।
তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য জানান, ‘রুবির পাশে যে গুলশন কলোনির কথা বলা হচ্ছে, ওখানে একটা দেড়শ বিঘার ভেড়ি আছে। ২০২১ সালে প্রচুর মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি ছিল, ২২ এর ভোটের পর ভেড়িতে কাজ করতে দেওয়া হবে। কিন্তু আমি জিতে যাওয়ায় যারা টাকা তুলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা সমস্যা পড়ে যায়। আমি ওই ভেড়ি বন্ধ করে দিই। কিছু জমি ভরাট করা হচ্ছিল, সেটাও আটকে দিই। তাই অনেকের স্বার্থে আঘাত লেগেছে।’