রোজগারের আশায় বিরাটির খালিসাখোটায় ভরাট হচ্ছিল পুকুর

শ্য়ামসুন্দর মান্না

 

দিনেদুপুরে অবাধে জলাশয় ভরাট চলছিল বিরাটি খলিসাখোটায়। উত্তর দমদম পৌরসভার কাউন্সিলরের নাকের ডগাতেই চলছিল এই কাজ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বড় বড় ট্রাক ঢুকছে এলাকায়। এই ট্রাক থেকে বস্তা বস্তা মাটি ফেলা হচ্ছে পুকুরে। অথচ এসবের কিছুই নজরে আসেনি স্থানীয় কাউন্সিলরের, না পেয়েছেন এই ব্য়াপারে কোন খবর।  এদিকে আগামী পয়লা জুন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। লোকসভা নির্বাচনী আবহে এভাবে পুকুর ভরাট হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাও বিস্মিত হন।

খলিসাখোটা অঞ্চলে প্রায় ১ বিঘা জলাশয় ভরাটের কাজ যখন জোর কদমে চলছে,  তখন খবর পৌঁছয় সংবাদমাধ্যমের কাছেও। এরপরই স্বাভাবিক ভাবেই জমির মালিক স্বাগতা দাসের কাছে জানতে চাওয়া হয় ঘটনা। উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি ভরাটের মানে বুঝি না। আমি ভেবেছিলাম, অর্ধেকটা ভরে একটা ঘর করলে কিছু করে খেতে পারব। আমরা অসহায় মানুষ। আমরা এত নিয়মের কিছুই জানি না। আমার ছেলেটার লিগামেন্ট ছেঁড়া। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। আমি নিজেই তৃণমূল করি।’ এরপরই জানতে চাওয়া হয়, কাউন্সিলর এই ব্যাপারটা জানেন কি না তা নিয়েও। সঙ্গে সঙ্গে ওই তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘না, দাদা এই ব্যাপারের কিছুই জানেন না। দাদা আমাদের মাথার ওপর ছাদের মতো থাকেন। আমাদের সব বিপদ আপদে সাহায্য করেন।’ ঘটনাক্রমে মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ছেলেও। তিনিও জানান, ‘এটা আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করা। যেহেতু আমাদের নলেজ কম। তাই আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। আমরা আর করব না।’

এই বিষয়ের কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপন সাহাও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে শুনলাম। বন্ধ করে দিয়েছি কাজ। হবে না এই ধরনের কাজ। বলব, পারলে মাটি তুলে নাও। কথা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − four =