শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় কমছে সবজির দাম। স্বস্তিতে আম-জনতা। পঞ্চায়েত ভোটপর্বের প্রস্তুতি, ভোটদান ও ফলাফলের বিশাল কর্মযজ্ঞের দরুণ গ্রাম বাংলার বহু কৃষকই চাষের দিকে নজর দিতে না পারাতেই নাকি এই মূল্যবৃ্দ্ধি, এমনটাই জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। ফলে এখন পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়েছে।
শহর কলকাতায় সবজির দামই ছিল সবচেয়ে বেশি। ফলে আমজনতার মধ্যে অস্বস্তি ছিল প্রবল। সেই দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। যেমন প্রতি কেজি টমেটোর দাম এখন ১২০-১৩০ টাকা। বেগুনের প্রতি কেজিতে দাম ১০০ টাকা। কাঁচা লঙ্কার দাম কমে কেজি হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। লাউয়ের দাম প্রতি কেজিতে রয়েছে ৫০ টাকা। পটল প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ৬০-৮০ টাকা দরে। ঢ্যাঁড়শের প্রতি কেজির দাম রয়েছে ৬০-৮০ টাকা। এছাড়া বাজারে তুলনামূলক এখনও সস্তা রয়েছে আলু। প্রতি কেজি আলুর দাম রয়েছে ২০-২২ টাকা। যদিও চন্দ্রমুখী আলুর প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২৩-২৫ টাকা। পেঁয়াজের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩০ টাকা। কুদরির প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২৫-৩০ টাকা। লেবুর প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২ টাকা করে। সবজির বাজারে দাম কমলেও মাছের বাজারে আগুন। বাজারে রুইয়ের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২০০ টাকা। কাটা রুই মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২৮০-৩০০ টাকা। কাতলা মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৩৫০ টাকা। ট্যাংরা মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৪০০ টাকা। এছাড়া ফলি মাছের কেজি রয়েছে ৩৫০ টাকা করে। বাজারে তেলাপিয়ার দাম রয়েছে আকার অনুযায়ী। একদম ছোট আকারের তেলাপিয়ার দাম রয়েছে ১৮০ টাকা কেজি। বড় আকারের মাছের দাম রয়েছে ২৫০ টাকা কেজি।
এদিকে বাজারে ইলিশ মাছের ছড়াছড়ি। ছোট ৩৫০ গ্রাম ইলিশের দাম রয়েছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি। ৫০০-৬০০ গ্রামের ইলিশের দাম ৯০০-১০০০ টাকা কেজি। বড় আকারের ইলিশ অর্থাৎ ১ কেজি ওজনের ইলিশ কলকাতার বাজারে খুব বেশি নেই। যে কয়েকটি বড় মাছ রয়েছে তার কেজি প্রতি দাম ঘোরাফেরা করছে ১৮০০ টাকার কাছাকাছি। তবে বাজারে ছোট ইলিশ ঢেলে বিক্রি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। কারণ নিয়ম অনুসারে খোকা ইলিশ ধরা আসলে বারণ। তারপরেও তা বাজারে বিস্তর ওঠায় অবাক অনেকেই।
শহর কলকাতায় মাংসের দামও চড়াই রয়েছে। চিকেনের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২২০-২৩০ টাকা। গোটা মুরগির প্রতি কেজির দাম রয়েছে ১৪৫-১৫৫ টাকা। মাটনের প্রতি কেজিতে দাম ঘোরাফেরা করছে ৭৪০-৮০০ টাকার মধ্যে।