কোলকাতা, ডিসেম্বর ২০২৩: চিকিৎসকেরা মাইগ্রেনকে তীব্র কম্পনকারী ব্যথা বলে চিহ্নিত করেন। একইসঙ্গে এটি আলো এবং শব্দের প্রতিও সংবেদনশীল। প্রায়শই সঙ্গে থাকে বমি বমি ভাবও। এই সব সমস্যা থেকেই মাইগ্রেনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে কিছু কিছু ব্যক্তিকে এই ধরনের সমস্যায় বেশি পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, শীতের মাসগুলিতে মাইগ্রেনের আক্রমণের প্রাবল্য অনেক বেশি হয়ে থাকে।
এই প্রসঙ্গে আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালের কন্যালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ডক্টর অপরাজিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘তাপমাত্রা হ্রাসের জেরে রক্তনালী সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমিয়ে দিতে পারে। উপরন্তু, ঠাণ্ডা ঋতুতে বায়ুচাপের পরিবর্তন মাইগ্রেনে যাঁরা ভোগেন সেই সব ব্যক্তিদের সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই শীতের সময়ে ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা একটি সুপরিচিত মাইগ্রেন ট্রিগার। উপরন্তু, শীতকালে ঘুমের ধরনের যে পরিবর্তন আসে যা মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’
আর এক্ষেত্রে শীতকালে মাইগ্রেনের ব্যথা উপশম করার ব্যাপারে ড. চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘শীতকালে মাইগ্রেন সমস্যা উপসম করা চ্যালেঞ্জিং হলেও সেটা মোকাবিলার কিছু সহজ কৌশল রয়েছে। প্রথম এবং সর্বাগ্রে, এই সময়ে উষ্ণ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শীতের পোশাক টুপি, পরুন যাতে ঠাণ্ডা কোনও ভাবে না লাগে। এরই পাশাপাশি ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখার চেষ্টা করুন, কারণ অনিয়মিত ঘুমের ধরণ মাইগ্রেনকে ট্রিগার করতে পারে। প্রচুর জল পান করে হাইড্রেটেড থাকুন এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। সঙ্গে হালকা ব্যায়াম করুন যাতে আপনার স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। সবশেষে, আপনার ডায়েটের প্রতি খেয়াল রাখুন, কারণ কিছু খাবার এবং পানীয় মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।’