স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। ঘটনার রাতে যাঁরা পদে ছিলেন, তাঁদের অপসারণের দাবিতে এককাট্টা আন্দোলনকারীরা। স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছেন না তাঁরা। তবে দাবিপূরণ না হওয়ায় আন্দোলনের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এদিকে সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন চিকিৎসকেরা। এই মিছিলেনর শুরুতেই ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যভবনে পৌঁছে স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চান আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে এও জানান, তাঁদের হাতে স্মারকলিপি জমা দিতে চান। এরপর মিছিলকারীদের মধ্যে থাকা ৩০-৩৫ জন স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে গিয়ে বৈঠকে যোগ দেন। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে ‘হতাশ’ মিছিলকারীরা। বৈঠকের পর তাঁরা জানান, ‘তাড়াহুড়ো করে ৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে অন্যত্র অধ্যক্ষ করা হল। অথচ আমরা যে ছোট ছোট দাবি নিয়ে এসেছি সেগুলো মানতে এত সময় লেগে গেল? বৈঠকে হতাশ। স্বাস্থ্যভবন খুব অসহায়।’ এরই পশাপাশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আরও বলেন, ‘সুবিচার চাইতে আমরা এখানে আসিনি। আমরা দেখব বৃহস্পতিবার সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী জানায়, তার পরই কর্মবিরতি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।আমাদের দাবি, ঘটনার রাতে থাকা অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, ডিনকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করাতে হবে। তাঁদের যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও পদে না রাখা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছেন। এসব দাবিগুলির উত্তর চাইতে এসেছিলাম। আমরা বুঝতে পেরেছি স্বাস্থ্যভবন প্রশাসনিক জটিলতায় কাজ করতে পারছে না। প্রশাসনিক চাপে স্বাস্থ্যভবন অসহায়। আমাদের মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনও লাভ নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’