এবার প্রশ্নের মুখে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঢেউসাগর’ প্রকল্প। অভিযোগ, এই প্রকল্পে একাধিক বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, সমুদ্র উপকূলের আইন না মেনে এবং ঝাউ বন ধ্বংস করে দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘ঢেউসাগর বিনোদন’ প্রকল্প তৈরি হয়েছে। স্যাটেলাইট ইমেজ ও বহু ছবি তুলে জাতীয় পরিবেশ আদালতে এই বিষয়ে মামলা রুজু করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে আদালত এই বিষয়ে সত্য নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দিল। আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ এলাকার এই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে বলে আদালত। কমিটিকে দিঘায় গিয়ে গোটা বিষয়টি দেখার পর এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৯ অগাস্ট পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যাত্রানালা ঘাটে সুসজ্জিত মঞ্চ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তৈরি হয় ঢেউসাগর পার্ক। খানিকটা কলকাতার ইকো পার্কের মতো। সেখানে বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য অনেক রাইডস রয়েছে। চলে একাধিক টয় ট্রেনও। টিকিটের দামও বিশেষ কিছু নয়। ফলে দিঘা যাঁরা বেরাতে যান, তাঁদের বাড়তি আকর্ষণ এই ঢেউসাগর পার্ক। বাচ্চা কিংবা বৃদ্ধরা প্রত্যেকেই অনায়াসে ঘুরে আসছেন। সামনেই সৈকত। সঙ্গে নিয়ন আলোয় সাজানো পার্ক। কিন্তু অভিযোগ, এই পার্কেরই অনেক জিনিস অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঝাউবন ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছে পার্ক।