শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় এতদিন পরে অভিযোগ কেন প্রশ্ন আদালতের

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের ভূমিকা। এদিন আদালতে শুনানি প্রক্রিয়া চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনাতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখে জানতে চান, ঘটনার এতদিন পরে কেন অভিযোগ করছেন মৃতের স্ত্রী তা নিয়েই। মৃত নিরাপত্তারক্ষীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টও এদিন খতিয়ে দেখেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব জোরাল এবং কীভাবে তা ঘটেছে, তা পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে লেখা রয়েছে। এদিকে এদিন শুনানির সময় রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, শুভেন্দু আদালতের থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছেন। মাথার উপরে ছাতা আছে, তাই তদন্তে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতার রক্ষাকবচ খারিজের জন্য আদালতে সওয়াল করার সময়েই শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্যের কথাও তিনি আদালতে তুলে ধরেন। বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর যে নিরাপত্তারক্ষী মারা গিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর বক্তব্য দেখুন, তিনি কী বলেছেন।’

এরপর বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, তিনি নিরাপত্তারক্ষীর স্ত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে কোথাও হত্যার অভিযোগ পাননি। বিচারপতির মন্তব্য, মৃতের স্ত্রী শুধু বলেছেন অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করেছিল। একইসঙ্গে ঘটনার এতদিন পরে কেন অভিযোগ, তা নিয়েও প্রশ্ন বিচারপতির। যদিও রাজ্যের আইনজীবী তখন জানান, যেহেতু শুভেন্দু তখন রাজ্যের ক্ষমতাশালী মন্ত্রী ছিলেন, তাই পরিবারের তরফে কেউ ভয়ে অভিযোগ করতে পারেননি। এরপরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিচারপতি। তিনি এদিন আরও মন্তব্য করেন, ‘ঘটনার পাঁচ বছর বাদে যদি নতুন করে মামলা শুরু হয়, তাহলে এই ধরনের কত নতুন মামলা শুরু হবে ভাবুন।’ এই ধরনের ক্ষেত্রে নতুন করে মামলা শুরু করার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =