সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি যে মামলা করেছেন, তা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য। বছর পার হয়ে যাওয়ার পর কেন সিট গঠন হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে মৃতদেহ লোপাট করার মতো অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশের সিট সেই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর যখন সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে, তখন সিট তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেছেন আখতার আলি। বৃহস্পতিবার ছিল, সেই মামলার শুনানি।
আদালত বলেছে, সিটের মাথায় সব সিনিয়র অফিসারদের রাখা হয়েছে, তার মানে রাজ্য এটাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সঙ্গে বিচারপতি এ প্রশ্নও করেন, ১৬ অগাস্ট কেন সিট গঠন, কেন ২০২৩ সালের অভিযোগের পরে হল না তা নিয়েও। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য অস্বীকার করছে না এটা সিরিয়াস অভিযোগ। তাই সিট গঠন করা হয়েছে।
আখতার আলির তরফে আইনজীবী কুমারজ্যোতি তিওয়ারি উল্লেখ করেন, মর্গ থেকে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি দেহ লোপাটের ঘটনা সামনে আসে। মেডিক্যাল ওয়েস্ট নিয়েও দুর্নীতি হয়। গত বছরের এপ্রিল মাসে দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করা হয়। তারা কোনও তদন্ত না করে রাজ্যকে এক্তিয়ার নেই বলে জানিয়ে দেয়। তার আগে রাজ্যে মানবাধিকার কমিশনে জানানো হলে সেখান থেকে তলব করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।
রাজ্যের তরফে পাল্টা প্রশ্ন, এক বছর আগে অভিযোগ জানানোর পর কোনও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও কেন মামলাকারী চুপ ছিল সে ব্যাপারে। সঙ্গে এও জানতে চাওয়া হয়েছে আরজি করের ঘটনা ঘটার পর কেন তাদের ঘুম ভাঙল তা নিয়েও। শুক্রবার দুপুর ১২টায় ফের এই মামলার শুনানি হবে।