বনাঞ্চল নিয়ে সরকারের কী পদক্ষেপ তা নিয়ে বিধানসভায় উঠল প্রশ্ন

দূষণ বাড়ছে পরিবেশে। যার জেরে বাড়ছে উত্তাপও। কিন্তু গাছ লাগানো নিয়ে বিধায়কদের ভূমিকা কতটা, তা এবার প্রশ্নের মুখে। খোদ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই প্রসঙ্গে বুধবার জানান, গা ছাড়া মনোভাব রয়েছে অনেক বিধায়কেরই।

বুধবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বেশ হতাশার সুরে বলেন, গতবছর প্রত্যেক বিধায়ককে এক হাজার চারা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গুটিকয়েক বিধায়ক ছাড়া কেউ গাছ নিয়ে যাননি বলে জানান বনমন্ত্রী।  সম্প্রতি, ঝাড়গ্রাম, জঙ্গলমহল-সহ একাধিক বনাঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সে প্রসঙ্গ কথা বলতে গিয়েই এদিন বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে একথা।

এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি প্রশ্ন করেন, ‘শালতোড়ার জঙ্গলে প্রতিবার আগুন লাগে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য বন দফতর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?’ উত্তরে বীরবাহা হাঁসদা জানান, ‘বন দফতরের তরফে চেষ্টা চলে। কিন্তু, এলাকার জন প্রতিনিধিরা যদি নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে আগুন লাগার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করেন, পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে সুবিধা হয়।’

এরপর বীরবাহা হাঁসদা জানান, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ৩১.৫১ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল এলাকা জুড়ে বাণিজ্যিক এবং অবাণিজ্যিক প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। ৩১.৫০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলের চরিত্র অপরিবর্তিত রেখে কাজ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১১,৮৭৯ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চল রয়েছে।

তখন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রশ্ন করেন, ‘বনাঞ্চলের কোর এরিয়ায় কত অবৈধ নির্মাণ হয়েছে এবং সেগুলো বন্ধ করতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?’ বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও এমন কোনও রিপোর্ট আসেনি।’ এরই রেশ ধরে নওশাদ সিদ্দিকিকে বনমন্ত্রী এদিন এও বলেন, ‘এমন কোনও তথ্য থাকলে সেটা দিন।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − fourteen =