আরজি করের ঘটনায় বামেদের বড় মিছিল নামল রাজপথে। কয়েকদিন আগেই রাজাবাজার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বড় মিছিলের ডাক দিয়েছিল বামেরা। সিপিএম সহ বামফ্রন্টের প্রায় সমস্ত শরিক দলকেই এদিন মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায়। মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকেও। মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব সহ বামফ্রন্টের বরিষ্ঠ নেতৃত্বকেও। একই সঙ্গে বামেদের ছাত্র-যুব ব্রিগেডকেও এদিন পথে নামতে দেখা যায়। প্রবীণদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটেন তাঁরা। যদিও এদিন মিছিলের শুরুতে মূলত মহিলাদেরই দেখা যায়।
বামেদের মিছিল আটকাতে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে। শ্যামবাজার মেট্রো গেট সহ পাঁচমাথা মোড় মোতায়েন করা হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। লাঠি,ঢাল,হেলমেট কাদানে গ্যাস নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন কলকাতা পুলিশ কর্মী থেকে আধিকারিকেরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ব্যারিকেডও।
মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই বিমান বসু বলেন, ‘এ মিছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল।’ একই সুর রবীন দেবের গলাতেও। যদিও মিছিল খান্না মোড়ে মিছিল যেতেই বাধা দেয় পুলিশ। বেঁধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভেঙে যায় পুলিশের ব্যারিকেড। উঠতে থাকে স্লোগান। বাম সমর্থকদের অনড় দাবি, শ্যামবাজার তাঁরা যাবেনই। তাঁদের কোনওভাবেই আটকানো যাবে না।