নতুন বছরের শুরুতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য় ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন রেশন ডিলাররা

নতুন বছরের শুরুতেই অনির্দিষ্টকালের রেশন-ধর্মঘটের পথে হাঁটছেন রেশন ডিলাররা। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই বনধ কর্মসূচি। এর আগে শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় খাদ্য ভবনের সামনে সকাল ১১টা ধরনায় বসেন রেশন ডিলাররা। ধরনা চলে বিকাল ৪টে পর্যন্ত। পাশাপাশি ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক সমাবেশ রয়েছে রেশন ডিলারদের।

এদিকে সূত্রে খবর, অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ওনার্স ফেডারেশনের ডাকে রেশন ধর্মঘট হতে চলেছে দেশজুড়ে। প্রায় ৫ লক্ষ ৩৮ হাজার রেশন দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিলাররা। ডিলারদের তরফ থেকে দাবি তোলা হয়েছে অগ্রিম কমিশনের। আর এই দাবি মানা না হলে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মঘট চালানোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে রেশন ডিলারদের তরফ থেকে।

এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, ‘আমাদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে রেশন ব্যবস্থা চালাতে হচ্ছে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর তা সম্ভব নয়। বারবার রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকারকে জানিয়েছি। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পশ্চিমবাংলায় যেটা হয়েছে, তা হল, পিডিএস কন্ট্রোলারের নামে রেশন দোকানদারদের উপর মানসিক নির্যাতন চলছে। আসলে রেশন দুর্নীতিকে আড়াল করতে রেশন দোকানদারদের উপর চাপ দিতে চাইছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছি। আর সেই কারণেই এই ধরনা।’ শুধু তাই নয়, সঙ্গে এও বলেন, ভুয়ো স্টক মাসের পর মাস ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিশ্বম্ভর বসুর। ১৭ তারিখ যে স্টক নিয়ে দোকান বন্ধ করা হয়েছে, পরদিন সেই স্টক বেড়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে এই গরমিলের জন্য রেশন দোকানকে ফাইন করা হচ্ছে, সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানান বিশ্বম্ভর বসু।

তবে রেশন বনধ করে এই সমস্যার সমাধান হবে কি না তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এই প্রসঙ্গে বিশ্বম্ভর বসু জানান, বারবার ডেপুটেশন  দিয়ে তো কাজ হল না। দেশে ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে ৮০ কোটি লোক রেশনের আওতায় আছেন। ৬০ কোটি লোক রেশনের আওতার বাইরে। ১ বা ২ তারিখ থেকে বন্ধ থাকবে ঠিকই। তবে রেশন যাতে পান তার জন্যই এত লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 20 =