মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ক্রেডাই ওয়েস্ট বেঙ্গলের প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতার মতে, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫-এ রিয়েল এস্টেট সেক্টরের বিকাশ ঘটানো হয়েছে। কিন্তু আরও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন যে, ‘অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন, তা স্থায়ী আর্থিক বিকাশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ব্যবস্থা রিয়েল এস্টেট সেক্টরকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করবে। আয়কর ছাড়ের সীমা ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং ভাড়ার উপর উচ্চতর টিডিএস সীমা (২.৪ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা) নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বাড়াবে, আবাসনের চাহিদা বাড়াবে এবং সামগ্রিক খরচ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরবান চ্যালেঞ্জ ফান্ডের আওতায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ফলে ভাল আরবান প্ল্যানিংয়ের বিকাশ ঘটাবে। এর ফলে পরিকাঠামো-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেটের উন্নতির পথও প্রশস্ত হবে। সেই সঙ্গে আটকে থাকা হাউজিং প্রজেক্টের গতি আনতে এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টরে লিক্যুইডিটি নিশ্চিত করতে স্পেশ্যাল উইন্ডো ফর অ্যাফর্ডেবল অ্যান্ড মিড ইনকাম হাউজিং পান্ড-২-এ ১৫ হাজার কোটি টাকার উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। উড়ান স্কিমের সম্প্রসারণ আঞ্চলিক সংযোগকে আরও উন্নত করবে। টায়ার ২ এবং টায়ার ৩ শহরে নতুন করে রিয়েল এস্টেট বাজার খুলে দেবে। যদিও বিশেষ করে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ক্ষেত্রে সেক্টরটি অতিরিক্ত পদক্ষেপের প্রত্যাশা করেছিল। ইন্ডাস্ট্রির দাবিগুলি যেমন – হায়ার হোম লোনের সুদের ছাড়-সহ আরও কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই সংস্কারগুলি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে হাউজিং অ্যাফোর্ডেবিলিটি এবং ইনভেস্টমেন্ট ইনফ্লো বৃদ্ধি করবে। যেহেতু এই ঘোষণাগুলি ইতিবাচক, তাই চলতি মাসের শেষের দিকে রেপো রেট কাটের বিষয়ে আশা করে রয়েছে এই সেক্টর। যাঁরা বাড়ি কিনতে চান, তাঁদের আবেগকে উন্নত করবে এবং বিকাশ আনবে।’