উলুবেড়িয়া মেডিক্যালের রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য ভবনের

উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য ভবন। ওটির ফিউমিগেশনের (জীবাণুনাশকরণ) মধ্যে অস্ত্রোপচারে বিপদ হতে পারে রোগীর, এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিরাও। কেন ওটি বন্ধ রেখে ফিউমিগেশন অর্থাৎ জীবানুনাশকরণ করা হল না তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। এদিকে এই ঘটনাও সামনে এসেছে যে উলুবেড়িয়া মেডিক্যাল কলেজে ওটি কক্ষের সংখ্যা কম। কিন্তু এ ব্যাপারে অবহিত নয় স্বাস্থ্য ভবন। আর এখানেও প্রশ্ন উঠেছে, ওটির সংখ্যা কম হলে স্বাস্থ্য ভবনকে কেন তা জানানো হয়নি তা নিয়েও। রোগীর চাপ সামলানোর যুক্তি দুর্বল, ঘনিষ্ঠ মহলে এমন‌ই পর্যবেক্ষণ স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের।

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুরে সংক্রমণের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর মধ্যে উলুবেড়িয়ার হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ে। একদিকে যখন চলছে প্রসূতির অস্ত্রোপচার, স্ট্রেচারে শুয়ে রোগী, ঠিক তখনই মিউরিয়াটিক অ্যাসিড দিয়ে মোছা হচ্ছে ঘরের মেঝে। এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়, অ্যাসিডের ঝাঁঝেই কাশি শুরু হয় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের। জানা যাচ্ছে, ড্রাগ কর্নারের নিচে কাদা ছিল, আর টেবিলে শুয়ে রোগী।

এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো জানান, ‘২০২৩-২৪ এই সময়টার মধ্যে মেটার্নাল ডেথ হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই একই ধরনের সমস্যা। প্রেগন্যান্সি, তারপর কিডনির সমস্যা, তারপর হিমোলাইসিস, কোয়াগুলাপ্যাথি, শক তারপরই মৃত্যু।’ আর এখানেই প্রশ্ন এই ব্যাপারে স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা কী তা নিয়েও। প্রশ্ন উঠেছে অপারেশন থিয়েটারগুলির অবস্থা সম্পর্কেও।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + twenty =