প্রকাশিত হল জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল। প্রথম দশের মেধাতালিকায় একেবারে ৪ জনই পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের। এমনকি শীর্ষ দুটি স্থানও পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের জেলার ছাত্র। সফল ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা সফল হতে পারেননি, তাঁদেরও ভেঙে না পড়ে লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছিল। এবছর মোট ৩২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় এবং ১,৪২,৬৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৯৯,৫,৭৪ জন ছাত্র এবং ৪৩,১২০ জন ছাত্রী ছিলেন। এবারে আন্দামান থেকে ১২, দমনের ৬, জম্মুর ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এছাড়া মিজোরাম থেকে বহু ছাত্রী ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন। পরীক্ষা হওয়ার ৩৮ দিনের মাথাতে প্রকাশিত হল এই ফলাফল। উল্লেখ্য, এই বছর জয়েন্টে পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯২। তাঁদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭৯ হাজার ২৫ এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৬৭। জয়েন্টে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬৩। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭৮ হাজার ৬২১ এবং ছাত্রী সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৪২।
প্রথম হয়েছেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র কিংশুক পাত্র, দ্বিতীয় হয়েছেন কল্যাণীর শুভ্রদীপ পাল এবং তৃতীয় হয়েছেন নদিয়ার বিবস্বান বিশ্বাস। বুধবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন বোর্ড বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কৃষ্ণনগরের ছাত্র বিবাস্বন অবশ্য আইএসসি বোর্ডের ছাত্র। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইরাদ্রি বসু খান্ডু ও ময়ূখ চৌধুরী। শিলিগুড়ির ছাত্র ইরাদ্রি ও কলকাতার সাউথ পয়েন্টের ছাত্র ময়ূখ সিবিএসই বোর্ডের ছাত্র। ষষ্ঠ হয়েছেন আইএসসি বোর্ডের ছাত্র, হুগলির ত্রিবেণীর বাসিন্দা ঋতম বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার সপ্তম ও নবম স্থানটি ছিনিয়ে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের ছাত্র। আলিপুরদুয়ারের ছাত্র অভীক দাস সপ্তম এবং কলকাতা বরাহনগরের বাসিন্দা সৌনক কর দশম হয়েছেন। আর অষ্টম ও দশম স্থান পেয়েছেন সিবিএসই-র ছাত্র অথর্বা সিঙ্ঘানিয়া ও বিজিত মোইশ। কলকাতা কাঁকুড়গাছির বাসিন্দা অথর্বা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সোনারপুরের বাসিন্দা বিজিত।
ফল প্রকাশ হলেও এখনও পর্যন্ত কাউন্সেলিংয়ের দিন ঘোষণা হয়নি। এবারে ৩ পর্যায়ে কাউন্সিলিং হবে। জেলাগুলির মধ্যে সাফল্যের নিরিখে এগিয়ে কালিম্পং। সেখানে ১০০ শতাংশ সাফল্যের হার।