বাংলায় পা পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে আধা সেনারা। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বাংলায় এসে গিয়েছেন জওয়ানরা। শনিবার বঙ্গের বিভিন্ন জেলা যেমন জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়িতে পৌঁছান জওয়ানরা। তেমনই দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। আর শনিবার পর রবিবার বাহিনী পৌঁছল কলকাতায়।
রবিবার সকাল থেকে কসবা, পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকা, পঞ্চসায়র থানা এলাকা, সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ সম্পন্ন হয়। সকাল থেকে সার্ভে পার্ক থানার অন্তর্গত কালিকাপুর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল দিতেও দেখা যায়। ৯ জনের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের একটি টিম গোটা সার্ভে পার্ক এলাকা ঘুরে দেখেন। এদিকে রবিবার সকালে কসবার একটি কমিউনিটি হলে দেখা মিলল এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এরপর প্রতিটি থানায় নির্দিষ্টভাবে এসে তাঁদের নিয়ে যান এক একটি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। প্রতিটি এলাকায় গিয়ে তাঁরা রুট মার্চ করেন। এদিকে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার থেকেই রুটমার্চ করার পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। স্বাভাবিকভাবে শনিবার জেলাতেও যে ছবি দেখা গিয়েছিল, এদিন তা কলকাতাতেও দেখা গেল। ভোটের আগে সাধারণ ভোটারদের মনোবল বাড়ানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কোথাও কোনও ভাবে অবনতি না হয় তাঁর কাজ করবেন তাঁরা।
এদিকে, রবিবার রাজ্য এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এই দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। সন্ধ্যা ৬টায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। এই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার, চিফ ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার, ইলেকশন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার।