রাজ্যপালের পদের ‘অপমান’-এর অভিযোগে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর ফলশ্রুতি স্বরূপ কলকাতার নগরপাল ও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে অমিত শাহের মন্ত্রক, এমনই আঁচ মিলেছিল বিশেষ সূত্রে। এবার এই ঘটনায় বাস্তবিক ক্ষেত্রে সামনে আসায় সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কোনও রাজ্যের আইপিএস অধিকারিকদের বিরুদ্ধে এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না বলেও দাবি শাসকদলের।
তবে পুলিশ বা প্রশাসনিক মহলের একাংশের বক্তব্য, আইপিএস এবং আইএএসদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং বা ডিওপিটি বা কর্মী ও প্রশিক্ষণবর্গের হাতে রয়েছে। আর এখানেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর বক্তব্য এবং সংবিধানকে অমান্য করার অভিযোগ করেছিলেন। এর আগেও এমন ঘটনার নজির আছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং-এর তরফে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছিল। যদিও তাঁর বিষয়টি একেবারেই আলাদা ছিল। অনেকেই বলছেন, ক্যাডার স্টেটকে এড়িয়ে কিছু করা যায় না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ক্যাডার রাজ্যকে কী বলেছে এবং রাজ্য কী পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানান, ‘এই পদক্ষেপ একেবারে সঠিক। পুলিশ যদি এভাবে তাবেদারি করতে থাকে, আইনও না দেখে তা হলে তো মুশকিল। রাজ্যপাল সংবিধানের রক্ষাকবচের মধ্যে আছেন। সেই বিষয়টা যদি সিপি কিংবা ডিসি সেন্ট্রাল না জেনে থাকেন, তাহলে তো ওনারা ওই পদে থাকারই যোগ্য নন। আর যদি জেনে করে থাকেন, তাহলে স্তাবকতার কারণে করেছেন। ওনাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এই জাতীয় কুৎসার সঙ্গে পুলিশপ্রশাসনের সংযোগ না থাকে।’
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন অবশ্য জানান, ‘রাজ্যপাল বিজেপির তল্পিবাহক। রাজ্যপালের কথায় বিজেপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন এটা তো স্বাভাবিক। রাজ্যপাল রাজভবনে কর্মরত মহিলার সঙ্গে যা করেছেন, দিল্লির হোটেলে গিয়ে যা করেছেন তার কোনও বিচার হবে না। এটা তো দিনের পর দিন হতে পারে না। তাই তো অভিযোগকারী সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন।’