গার্ডেনরিচের বেআইনি নির্মাণ ঘিরে অস্বস্তি বেড়েই চলছে রাজ্যের। কারণ, বৃহস্পতিবার একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় পুরকর্মীদের। পুরকর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রশ্ন ওঠে,পুনর্বাসনের আগেই কীভাবে বাড়ি ভাঙা তা নিয়েও। বাড়ি ভাঙা হলে সন্তান-বয়স্ক মানুষদের নিয়ে কোথায় যাওয়া হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। এই ঘটনাতেই অসহায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রশ্ন উঠছে, একটি বাড়ি ভাঙতে গিয়েই যদি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে বাকি সব বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গেলে কী পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে তা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘সব কিছু সম্ভব নয়। আমরা যেটা ভাবি, বা টিভিতে যেটা দেখি, বাস্তবে করতে গেলে অনেক রকমের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তারই একটা ঝলক আপনারা দেখলেন। আর এই ঝলক যদি আরও এক হাজার গুণ বেশি হয়, তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টা একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, এতগুলো মানুষের বাসস্থানের জোগাড়, সেটাও একটা সমস্যা। এটা দেখেই নিশ্চিতভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। মহামান্য আদালতও সেটা ভেবেই নির্দেশ দেয়।’
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই রবিবার মধ্যরাতে ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের একটি বেআইনি বাড়ি। তাতে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ১১ জনের। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। রাজ্য জুড়ে সাড়া ফেলে দেয় এই ঘটনা। বেআইনি নির্মাণের বিস্তর অভিযোগ ওঠে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেআইনি নির্মাণ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। যদিও প্রথম দিকে মেয়র দাবি করে আসছিলেন, বেআইনি নির্মাণ দেখার বিষয় পুরকর্তাদের।
তবে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার প্রসঙ্গেও ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘আমরা এখনও একশো শতাংশ অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে পারছি না, এটা ঠিক। সমস্যা হচ্ছে, ওই এলাকায় গরিব মানুষ ঢুকে গিয়েছেন। অল্প পয়সার ফ্ল্যাট কিনে রয়েছে। এখন উচ্ছেদটাও সমস্যার হয়ে গিয়েছে। গরিবমানুষগুলো অল্প টাকায় ঘর কিনে রয়েছে। আমি তাই আমার বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টকে বলি, যখন শুরু হচ্ছে, তখনই অ্যাকশন নিন।’
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৮০০ টা বেআইনি বাড়ি রয়েছে। সবগুলোর সঙ্গেই ববি হাকিমের লিঙ্ক রয়েছে। এর আগে ওখানকারই বাসিন্দা আমির খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।’ সঙ্গে এও জানান, জোকা হরিদেবপুর থেকে বারাসতের শেষ মাথা পর্যন্ত যান, তাহলে কোনও পুকুর পাবেন না।