তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

রূপান্তরিত, রূপান্তরকামী তৃতীয় লিঙ্গের সমস্ত মানুষকে সমাজের মূল স্রোতে মেলাতে এবার নয়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এদিকে সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে তৃতীয় লিঙ্গের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। এবার এই সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের হয়রানি কমাতে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়পত্র পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও খানিকটা সহজ করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যান দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, এবার থেকে বৈধ মেডিক্যাল শংসাপত্র ও কাগজপত্র নিয়ে জেলাশাসকের কাছে গেলেই মিলবে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়পত্র। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত মানুষদের মূল স্রোতে সামিল করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের তরফেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে। আইনেও রয়েছে তাদের সুরক্ষার জন্য একাধিক ব্যবস্থা। যেকোনও সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক। একমাত্র তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়পত্র থাকলে তবে সংরক্ষণের সুবিধা সহ শংসাপত্র ও শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত বিশিষ্টজনেরা।

সুযোগ-সুবিধা, সংরক্ষণ এতদসত্ত্বেও সমাজে ট্রান্সজেন্ডার, তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত মানুষদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আজও তৈরি করা হয়। তাই সমাজে সচেতনতা বাড়াতেও নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। যদিও বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের আইন নিয়ে যে নোটিফিকেশন রয়েছে সেখানে বেশ কিছু ধোঁয়াশার জায়গা আছে। তা মেটাতে আরও সংশোধনীর দরকার রয়েছে বলে জানান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। তিনি ব্যাখা করে বলেন, যদিও আইনে বেশ কিছু বিষয় এখনও স্পষ্টভাবে বলা আছে যেমন কোনও তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত ব্যক্তির সন্তান সমান অধিকার পাবে কোনও ভেদভাব চলবে না। শিক্ষার অধিকার সহ সমস্ত অধিকার তাদের সুনিশ্চিত করতে হবে তবুও স্কুল থেকে কর্মক্ষেত্রে সমস্ত জায়গায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে সহপাঠীদের ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন। বুলিংয়ের কারণে অনেকে স্কুল যেতে চান। এই চিত্র অবিলম্বে পরিবর্তন হওয়া দরকার বলে মনে করেন সমাজেরই একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 12 =