সুপ্রিম কোর্টে পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার আবেদন আরজি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। কুন্তল ঘোষের চিঠির প্রেক্ষিতে রাজ্যের পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরনাপন্ন হয় রাজ্য সরকার। এর আগে যে আবেদন করা হয়েছিল তা হয় অবসরকালীন বেঞ্চে। অবসরকালীন বেঞ্চ সোমবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটি উল্লেখ করার নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সোমবার আবেদনের উল্লেখ করেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী।
আদালত রাজ্যের আবেদন খারিজ করার আগে আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দেয় রাজ্যকে। সেইমতো আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে আগেও খারিজ হয়েছিল পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের দ্রুত শুনানির আরজি। কলকাতা হাইকোর্টর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার। গত ২ জুন অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মামলার উল্লেখ করতে পারবে রাজ্য। সেইমতোই সোমবার আর্জি জানানো হয়।
পুরনিয়োগের দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে অয়ন শীলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই। অয়ন শীলের কাছ থেকে তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি প্রয়োজনে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, সেকথাও জানান।
এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়। এর আগে উল্লেখপর্বে রাজ্যের আইনজীবী সুনীল ফার্নান্ডেজ বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথের বেঞ্চে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের আবেদন করেন। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা তার বিরোধ করলে অবকাশকালীন বেঞ্চ আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপর শেষ পর্যন্ত সোমবার মামলাটি প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার।