স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক নিপায় আক্রান্ত কি না তা নিয়ে ছড়াচ্ছিল জল্পনা।তবে পুণে থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ওই যুবক নিপা নেগেটিভ। বলাই বাহুল্য স্বাস্থ্য অধিকর্তারা এই রিপোর্টেরই অপেক্ষায় ছিলেন। বৃহস্পতিবারই সন্দেহভাজন যুবকের নমুনা সংগ্রহ করে এনআইভি’র নির্দেশিকা মেনেই শুকনো বরফ-সহ ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া অর্থাৎ ভিটিএম বক্সে করে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছিল যুবকের নাক, গলার রস, মূত্র ও রক্ত এই চার ধরনের নমুনা। যদি ওই যুবক নিপায় আক্রান্ত হতেন, তাহলে তাঁর হাত ধরেই বাংলায় প্রবেশ করত নিপার সংক্রমণ। সেই কারণেই এনআইভি-র পুণের রিপোর্টের অপেক্ষায় ছিল স্বাস্থ্য ভবন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসেন ওই যুবক। বছর তেত্রিশের ওই যুবক আদতে পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। কর্মসূত্রে তিনি কেরলে থাকতেন। কিছুদিন আগে সেখানেই জ্বর হয় তাঁর। আরও অন্যান্য সংক্রমণ ধরা পড়ে।তিনি কেরল থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরত আসেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখা এলে, কেরল ফেরত শুনেই চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনও বিপন্মুক্ত নন ওই যুবক। তাঁকে প্রতি মিনিটে ২-৪ লিটার অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। তবে নিপা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় স্বস্তিতে চিকিৎসকরাও।