ময়নাতদন্তের আগে মৃতদেহ কর্মশালায় ব্যবহারের অভিযোগে রিপোর্ট তলব রাজ্য় মানবাধিকার কমিশনের

আরজি করে মৃতদেহের ময়নাতদন্তের আগে কর্মশালায় ব্যবহারের অভিযোগ রিপোর্ট তলব করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এরই পাশাপাশি তলব করা হয়েছে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও। একইসঙ্গে তলব করা হয়েছে ইএনটি’র চিকিৎসক দেবব্রত দাস, ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক সৌম্যব্রত পাঁজাকেও। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ত ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই আরজি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে যে ময়নাতদন্তের জন্য নির্ধারিত দেহ কাটাছেঁড়া করে ইএনটি বিভাগে‌র চিকিৎসকদের দেখানো হয় কীভাবে। আর কি ভাবেই বা হয় এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি। প্রসঙ্গত, ইএনটি’র কর্মশালায় ফরেন্সিকের জন্য রাখা পাঁচ দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। বিতর্কিত পদক্ষেপে কাঠগড়ায়  দাঁড় করানো হয় অধ্যক্ষকে।

আরজিকর সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের জন্য নির্ধারিত পাঁচ দেহ যে চিকিৎসকদের কর্মশালায় ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতিই নেওয়া হয়নি।‌ মৃতদের পরিজনদের‌ও সম্মতিও নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের দাবি, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই ফরেন্সিক বিভাগ থেকে দেহগুলো গত ৫ জানুয়ারি কর্মশালার জন্য ইএনটি বিভাগে পাঠানোর ঘটনায় বিতর্ক দানা বাঁধে।

অভিযোগ ওঠে, ময়নাতদন্তের দেহে কর্মশালার আয়োজন আইন বিরুদ্ধ। এক্ষেত্রে  জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু পরিবারের সম্মতি না নিয়েই সেই দেহে কর্মশালায় সার্জারি কেন তা নিয়েও। কারণ অনেকক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভরসা করে থাকে।  এক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের আগেই দেহ কাটাছেঁড়া হলে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ব্যাহত হতে পারে। কার নির্দেশে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন পদক্ষেপ, তাতেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় অধ্যক্ষকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 18 =