সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে কুণালের বক্তব্যে অস্বস্তিতে রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের ২৫ দিনের মাথায় গ্রেফতার হলেন সন্দীপ ঘোষ। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে অবশ্য ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায়। তাঁর গ্রেফতারির পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আর তাঁর বক্তব্যে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পরই এক্স হ্যান্ডলে কুণাল লেখেন, ‘তদন্ত সিবিআই করছে। সম্ভবত দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়টা সন্দীপ বা তাঁর আইনজীবীরা বলতে পারবেন। দলের কোনও বক্তব্য নেই। কিছু অভিযোগ অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষেপ নিলে এখনকার অস্বস্তি এড়াতে পারত স্বাস্থ্যভবন।’ কুণালের বক্তব্যে স্পষ্ট, সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু, বক্তব্যের শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, কিছু অভিযোগ আগেই শোনা গিয়েছিল। তখন পদক্ষপ করলে অস্বস্তি এড়াতে পারত স্বাস্থ্যভবন। যার অর্থ, আগে অভিযোগ উঠলেও স্বাস্থ্যভবন কোনও পদক্ষেপ করেনি। কেন করেনি, উঠছে সেই প্রশ্ন।

আরজি করে ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির পর সুপারকে সরানো হয়েছিল। কিন্তু, তখনও বহাল তবিয়তে ছিলেন সন্দীপ। এরপর তিনি নিজে পদত্যাগ করতে চান। তখন তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে পাঠানো হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশ্য যা স্থগিত হয়ে যায়। ফলে সন্দীপ ঘোষের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন অনেকদিন থেকে উঠছে।

শুধু কুণাল নন, সন্দীপের গ্রেফতারি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশু লেখেন, ‘সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার। দারুণ খবর। শুধু মাথায় রাখবেন দুটো জিনিস। এক, খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়নি। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। দুই, উনি যে কেসে গ্রেফতার হয়েছেন, যেই কেসে এফআইআর দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। আমি ভীষণ খুশি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 6 =