খাটের নিচে সুড়ঙ্গ, যে কারণে পুলিশ গেলেও ফিরতে হয় খালি হাতেই। কুলতলিতে নকল সোনা কারবারির খোঁজে গিয়ে লাগাতার নাকানিচোবানি খেতেও দেখা গেছে পুলিশকে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। তবে অহেতুক উত্তেজনা ছড়াতেও নিষেধ করছেন। এদিকে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি স্পষ্ট জানান, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে সুরঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেছে সেটা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর প্রয়োজন নেই, তেমনই আমরা এই বিষয়টিকে ছোটো করেও দেখছি না। রেয়াত করা হবে না কাউকেই।’
এদিকে এদিন ডিজির কড়া বার্তার পরেই এদিন বিকেলেই দেখা যায় কুলতলির পয়রাহাটে সাদ্দামের খোঁজে মাঠে নেমেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকায় কোথায় সাদ্দাম তা জানতে মরিয়া পুলিশ। চলল সাঁড়াশি অভিযান। এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় টহলও দেয় পুলিশ। বিভিন্ন লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টাও চলে। লক্ষ্য একটাই। সাদ্দাম। এদিন অভিযানের সময় দেখা যায় তিন থেকে চার ব্যক্তিকে ধাওয়া করেন পুলিশকর্মীরা।
যে জায়গায় এদিন অভিযান চলে সেখানে সাদ্দামের সঙ্গীরা লুকিয়ে ছিল বলেই খবর ছিল পুলিশের কাছে। তবে পুলিশ আসতে দেখেই চম্পট লাগায় সাদ্দাম-সঙ্গীরা। সাদ্দামের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না পুলিশ আধিকারিকেরা। তবে এক ব্যক্তিকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত এই ব্যক্তির নাম আবতাব সর্দার।তাঁর দাবি, তিনি নকল সোনার কারবারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। পুলিশের উপর আক্রমণের ঘটনাতেও তাঁর যোগ নেই। আবতাব সর্দার জানান, পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই ছুটে পালাচ্ছিলেন।
এদিন রাজীব কুমারের সঙ্গেই সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখোমুখিও হন। সেখানেই কুলতলির সুড়ঙ্গ কাণ্ড নিয়ে পুলিশের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তা মানলেন রাজীব। সঙ্গে পুলিশ যে অ্যাকশন নিতেও শুরু করে দিয়েছে তাও মনে করিয়ে দিলেন বারবার। এদিন এই সুড়ঙ্গ প্রসঙ্গে তাঁর মুখে শোনা গেল ট্রাম্পের গুলি খাওয়ার প্রসঙ্গও।