এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক হলেন দেবাঞ্জন

সৃজন ভট্টাচার্যের ছেড়ে যাওয়া আসনে বেছে নেওয়া হল দেবাঞ্জন দে -কে। কারণ,  ঘোষিত কর্মসূচি হোক বা হঠাৎ করে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত, এসএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটি দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ করতে সক্ষম। আর এই কাজের নেপথ্যে বরাবরই সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সভাপতি দেবাঞ্জন দে কে। টালা থেকে টালিগঞ্জ মিটিং, মিছিল, সভা, সমিতিতে সবসময় এগিয়ে থেকেছে কলকাতা জেলা। আর সৃজনের জায়গায় দেবাঞ্জনকে আনার উদ্দেশ্য কলকাতা জেলার মতো বাকি জেলাতেও কর্মসূচিতে আরও গতির সঞ্চার করা।

সূত্রের খবর, এসএফআই-র বিদায়ী রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এবং রাজ্য সভাপতি প্রতীকউর রহমনকে লোকসভা নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারে সিপিআইএম। তাঁদের দু’জনকে প্রার্থীও করা হতে পারে। আর এরই সূত্র ধরে প্রথম থেকেই নাম উঠে আসছিল কলকাতা জেলা সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব সামলানো দেবাঞ্জন দে-র। লড়াকু-পরিশ্রমী হিসাবে পরিচয় দিয়ে দলে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা জেলা সংগঠনে বদল হয়েছে। এসএফআই-এর কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বর্ণনা মুখোপাধ্যায়। সম্পাদক হয়েছেন দিধীতি রায়। একদিকে যখন জেলা কমিটিতে দুই মহিলা মুখকে তুলে আনা হয়েছে, তখন দীর্ঘদিন কলকাতা জেলা সংগঠনের দায়িত্ব সামলানো দেবাঞ্জনকে কি এবার দেখা যেতে পারে নতুন ভূমিকায় এমন জল্পনাও ঘোরাফেরা করছিল। সেই জল্পনাকেই এবার সত্যি করে ৩৮তম রাজ্য সম্মেলনে ঠিক করা হয় নবনির্বাচিত সম্পাদক হবেন দেবাঞ্জন দে।

সূত্রের খবর দেবাঞ্জনের কাজের গতির দিকে বেশকিছু দিন ধরেই নজর রাখছিল নেতৃত্ব। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ও সভাপতি প্রতিক উর রহমানের উত্তরসূরী বেছে নিতে তাই অসুবিধা হয়নি সংগঠনের নেতৃত্বের। একদিক থেকে এটা প্রত্যাশিত ছিল বলেই মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। ২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি মালদহে রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই দেবাঞ্জনকে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। রাজ্য সভাপতি প্রতীকউর রহমানের জায়গায় এলেন প্রণয় কার্য্যী। পাশাপাশি ছাত্র সংগঠনের মুখপত্র ‘ছাত্রসংগ্রাম’-র সম্পাদক করা হয়েছে বীরভূমের সৌভিক দাস বক্সিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − eleven =