আরজি কর মামলায় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও আলাদা করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এই রিপোর্টে জানানো হয়, চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারদের ২৮ দিনের কর্মবিরতিতে ৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সোমবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে সওয়াল করতে গিয়ে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এই ঘটনার জন্য চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে দায়ী করেছে রাজ্য।
এরপরই শীর্ষ আদালত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার ডেডলাইন বেঁধে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে সাফ জানাল, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। আর কাজে যোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নয়। যদি তারা কাজে যোগ না দেয় তাহলে রাজ্য তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদপেক্ষ নিতে পারে। রাজ্য কড়া পদক্ষেপ নিলে সুপ্রিম কোর্ট কোনও বাধা দেব না। মামলার শুনানিতে জানাল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার বিচার চেয়ে কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা বজায় রেখেছেন তাঁরা। হাসপাতালের সামনে স্বাস্থ্য শিবির করে রোগী দেখছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর আগের শুনানিতেই জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠন আপাতত ‘সিজওয়ার্ক’ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কর্মবিরতিতেই অনড় থাকছেন তাঁরা। কিন্তু তাতে চিকিৎসার অভাবে একাধিক রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি আরজি করে শ্রীরামপুরের দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যুবকের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। গোটা বিষয়টি উল্লেখ করা হয় সুপ্রিম কোর্টে।