কলকাতায় একাধিক বাড়ি হেলে পড়ার অভিযোগে কলকাতা পুরসভা ক্রমাগত যখন বিদ্ধ সেই সময় পুরকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের বোঝালেন ববি। পৌরসভার কর্মীরা যাতে কোনও রকম দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়েন এমন কথাও অভিভাবকের মতোই বোঝাতে শোনা গেল তাঁকে। কখনও তাঁকে এদিন বলতে শোনা যায়, ‘আমি বুড়ো হয়েছি, আমি আর কত দিন থাকব, আপনারাই ভবিষ্যত।’ কখনও আবার বলেন, ‘সৎ উপায়ে রোজগার করলে এক সময় গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচা যায়।’
এ দিন, ফিরহাদ বলেন, ‘বেআইনি বাড়ি আটকাতে একটা টিম তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে এই বিষয়ে।’ এরই পাশাপাশি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে ফিরহাদ এও জানান, ‘আপনারা যাঁরা বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন, তাঁদের হয়ত মনে হচ্ছে এটা একটা থ্যাঙ্কলেস জব। কিন্তু তা নয়। আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনারা এখানে ষাট বছর অবধি থাকবেন। এক সময় কেউ যদি প্রশ্ন করতে বাবা কোথায় কাজ করে? বাচ্চা ছেলেরা বলত চোর-পোরেশন। কিন্তু আপনাদের সন্তানরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারবে, আমার বাবা কর্পোরেশনে কাজ করে। তাই বলছি, পুরসভার সুনাম আপনারা ধরে রাখতে পারবেন। আমি পারব না। আমার মতো বুড়ো হাবড়া কিচ্ছু করতে পারবেন না। সুনাম আপনাদের হাতে।’
একই সঙ্গে মেয়র পুরকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যাঁরা অন্যায় করে বেআইনি বাড়ি তৈরি করছে, যাঁরা দুর্নীতি করছে, তাঁদের যখন বয়স দেখবেন, তাঁদের হয় ছেলে পঙ্গু হয়। নয়ত সংসারে অশান্তি হয়। হিসাব বহির্ভূত টাকা থাকলে ঘুম আসে না। আর পঞ্চাশ-ষাট বয়স হলে এত ওষুধ খেতে হয় যে সেই টাকা থাকে না। নিজের কাজ সম্মানের সঙ্গে করলে অহংকার করে বাঁচতে পারবেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে অহংকার করতে পারবেন। আপনাদের কাছে এটাই চাই আমি।’