গুপ্তঘরের হদিশ মিলল সোনারপুরের ত্রাস জামালউদ্দিনের ঘরেও

সাদ্দামের বাড়ির সুড়ঙ্গ দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পুলিশি তৎপরতা নিয়েও। এবার প্রায় সেই একই ছবি সোনারপুরের জামালউদ্দিনের বাড়িতেও। হদিশ মিলল গুপ্তঘরের। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় বিষয়টি টের পায় পুলিশ। ভেঙে দেখা হচ্ছে, কী রয়েছে ভিতরে। এদিকে জামালের দাবি, ওই গুপ্তঘর আসলে জলের ট্যাঙ্ক। তবে, সেটি সত্যিই জলের ট্যাঙ্ক নাকি সেখানে কিছু লুকিয়ে রাখা আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিশ সূত্রে। এই তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল সংখ্যক পুলিশ।

এদিন ভোররাতেই জামালকে সঙ্গে নিয়ে নামালে তাঁর সোনারপুরের এই প্রাসাদোপম বাড়িতে আসে সোনারপুর থানার পুলিশ। তার বাড়ির জলাশয়ের পাশে মাটির নীচে একটি ঘর আছে বলে আগেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সোনারপুরের বাড়িতে এসে, পাতালঘরের সন্ধানে ওই জায়গাটি খুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সিসিটিভির ডিভিআর বা ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জলের ট্যাঙ্ক ছিল, সেগুলিও খুলে দেখা হয়েছে। একটি ১৫ হাজার লিটারের বিশাল জলের ট্যাঙ্ক ছিল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোনারপুরের ত্রাস জামাল প্রাসাদোপম বাড়ির মালিক। তাঁর বাড়ির ভিতর এলাহি ব্যবস্থাপনা। সুইমিং পুলে চড়ে বেড়ায় পোষ্য কচ্ছপ। রয়েছে ঘোড়া। তার দেখভালের জন্য রয়েছে কর্মী। এছাড়া বাড়িতে পরিচারক-পরিচারিকারও শেষ নেই। অবশ্য জামালের আয়ের উৎস তেমন কিছু নেই। নিজের বাড়ির ভিতরে আলাদা পৃথিবী গড়ে তুলেছিলেন জামাল। অভিযোগ, সেখানে সালিশি সভা বসাতেন তিনি। সেই সালিশি সভাতেই শিকলে বেঁধে মহিলাকে নির্যাতন করেছিলেন জামাল। যা নিয়ে হইচইয়ের পর থেকেই এলাকাছাড়া হয়ে যান সোনারপুরের ‘ত্রাস’। পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় তাকে। বর্তমানে বন্দি তিনি। সরাসরি কিছু না বললেও জামালের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

আপডেট করা হতে থাকবে………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =