গাড়ির বকেয়া কর আদায়ে নতুন বছরে চালু হচ্ছে ওয়েভার স্কিম। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট একমাসের মধ্যে ট্যাক্স, পারমিট এবং ফিটনেস সার্টিফিকেট সংক্রান্ত বকেয়া টাকা জমা করলে জরিমানা মকুব করা হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ট্যাক্স মেটালেই হবে। কোনও জরিমানা মেটাতে হবে না। তবে শুধু একমাস নয়, পরবর্তীতেও ওয়েভারের কিছুটা সুবিধা মিলবে। সেক্ষেত্রে জরিমানার পুরোপুরি ছাড় মিলবে না। একটা নির্দিষ্ট শতাংশের হিসাবে কিছুটা জরিমানা মেটাতে হবে।
এর পাশাপাশি পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, রাজ্যে চলা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ গাড়ির মধ্যে ৬৫ শতাংশ গাড়িরই ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। যেগুলোর জরিমানা ধরলে যার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সরকার মনে করছে, জরিমানা মকুব করে শুধু বকেয়া ট্যাক্স, সিএফের ফিস এবং পারমিটের পুনর্নবীকরণের টাকা যদি পাওয়া যায় তাহলেও সরকারি কোষাগারে আসবে ২২০০ কোটি টাকা। যার পরিমাণটাও অনেকটাই।সাধারণ মানুষ জমে থাকা জরিমানার ভয়ে মূল করের টাকাও দিচ্ছে না। ফলে সরকারের কোষাগারে টাকা তো আসছেই না। উলটে বকেয়া করের টাকা বেড়ে যাচ্ছে।
পরিবহণ দফতরের তরফ থেকে এও জানানো হচ্ছে,যে কয়েকলক্ষ গাড়ির কর বাকি, তারমধ্যে বেশিরভাগই পণ্যবাহী। বাকি বাস থেকে স্কুলবাস সবই রয়েছে সেই তালিকায়। তাতে উল্লেখ থাকবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত গাড়ির কর এবং বিভিন্ন ফি বাকি রয়েছে, সেগুলোকে ১ জানুয়ারি থেকে একমাসের মধ্যে জমা করলে জরিমানা সম্পূর্ণ মকুব হবে। তার পর করলে পুরোপুরি মকুব হবে না। জরিমানার একটা অংশ তখন দিতে হবে। শুধু বাণিজ্যিক এবং পণ্যবাহী যানই নয়, ওয়েভারের সুযোগ নিতে পারবে প্রাইভেট গাড়ির মালিকরাও।