এক সরকারি আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। টেন্ডার কমিটির একটি বৈঠকে বিডিওকে বোতল ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে টিটাগড়ে থানার এক পুলিশ আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
সূত্রে খবর, গত বুধবার টেন্ডার কমিটির একটি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, সেই সময় উত্তেজিত হাবরার দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রতন দাস বোতল ছুঁড়ে মারেন বিডিও শেখর সিং-এর দিকে। তবে বোতলটি তাঁর গায়ে না লেগে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মধ্যক্ষের গায়ে লাগে। এখানেই শেষ নয়, বিডিওর উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে।
যদিও, এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিডিও। জেলা শাসককের সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। অপরদিকে, বারাসাত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, ‘ওদের দু’জনের মধ্যে একটা সমস্যা হয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন । ওখানে একটা সরকারি সভা ছিল সেই সরকারি সভার বিষয় নিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। তবে জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছেন বিডিওর `বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। তিনি গোটা তদন্ত করছেন।’
এদিকে অভিযুক্ত রতন দাসের বক্তব্য, ‘সাত আট মাস হয়ে গিয়েছে উনি উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছেন না। উনি আমায় বললেন,আমাকেই নাকি সব কথা বলতে হবে। তারপর আমায় বললেন ঘর থেকে বেরিয়ে যান। আমি তখন বললাম এই ক্ষমতা আপনাকে কে দিয়েছে বলতে হবে। তারপরই জলের বোতল আমার পাশেই ছিল, আমি চাইনি ওঁকে মারতে, পাশে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ছিল তাঁর গায়ে পড়ে গিয়েছে।’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘আমি বলব বিডিও সাহেব যেন ডায়রি করেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। আইন আইনের পথে চলবে। আমাদের দল কোনও ভাবেই জনপ্রতিনিধিদের এই আচরণ সমর্থন করে না।’