সোমবার আদালতের নির্দেশ চাকরি বাতিল হল ২০১৬-র প্যানেলের মধ্যে ২২ হাজারের বেশি কর্মরতের। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও যারা চাকরি পেয়েছেন, যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সমস্ত বেতন ফেরত দিতে হবে। সঙ্গে গুনতে হবে সুদের টাকাও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়, সিবিআই তাঁদের ৫ হাজার নিয়োগ নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছিল। এখনও অবধি যা খবর, প্রায় ৫ হাজার নিয়োগই বেআইনি। তবে ঠগ বাছতে গিয়ে অনেক যোগ্য প্রার্থীরও চাকরিও গেল অনেকেরই।
এদিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ১২ শতাংশ সুদে টাকা ফেরত দেবেন তাঁরা। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-তে বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই টাকা ফেরাতে হবে। এদিকে সূত্র বলছে, নবম দশমে চাকরির ক্ষেত্রে একজন ৪০ হাজারের কম বেশি মাইনে পান। এটা তাঁর স্টার্টিং স্যালারি। ২০১৯ থেকে বেতন পেলে ২০২৪-এর মার্চ অবধি সেটা প্রায় ২৪ লক্ষের কাছাকাছি। এর মাঝে বেতন বাড়তেও পারে।
একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে স্টার্টিং স্যালারি মোটামুটি ৪৪ হাজারের আশেপাশে। এই হিসাবে এগোলে ২০২৪ অবধি প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা বেতন হবে ওই শিক্ষকের। এরপর টাকা বেড়ে থাকলে বাড়বে মোটের পরিমাণও।
পাশাপাশি গ্রুপ সির ক্ষেত্রে চাকরির একেবারে শুরুতে একজন ২৬-২৭ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন। তাঁদের বেতন বৃদ্ধি হয়। স্টার্টিং স্যালারি ধরে এগোলে মোটামুটি ২০২৪ অবধি ১৬ লক্ষর টাকার আশেপাশে হবে। গ্রুপ ডির ক্ষেত্রে শুরু ১৯ হাজার টাকা ধরলে, ২০২৪ অবধি তা ১১ লক্ষের মতো হয়। এরপর টাকা বাড়লে বাড়বে মোটের পরিমাণও। অর্থাৎ কয়েক লক্ষ টাকা ফেরাতে হবে এই চাকরিহারাদের।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে এই পরীক্ষা হয়। ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছিল ২৪ হাজার শূন্যপদের ভিত্তিতে। অর্থাৎ এখানেই দুর্নীতির বীজ বোনা শুরু। এদিনের নির্দেশের পর ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। তার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ হবে। তবে নিয়োগ পদ্ধতি কী হবে তা এসএসসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাবে, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তবে এসএসসি এখনই এসব নিয়ে ভাবছে না, ভাবছে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা।