তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলেন দুই বন্ধু। পুজো দেওয়ার পর এক বন্ধুকে অন্য বন্ধুকে ডালার দোকানে বসিয়ে রেখে চলে যাওয়ার পর শ্মশানের রাস্তায় উদ্ধার হয় এক বন্ধুর ক্ষতবিক্ষত দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত যুবকের নাম নিরঞ্জন। নিরঞ্জনের বাড়ি বীরভূমের নলহাটির নয় নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ায়। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, তিনি নলহাটির রেল ষ্টেশনে জিআরপিতে সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে নলহাটি থেকে তারাপীঠে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নিরঞ্জন। তাঁর বন্ধুর দাবি, তাঁকে একটি পুজোর ডালার দোকানে বসিয়ে রেখে ‘আসছি’ বলে চলে গিয়েছিলেন নিরঞ্জন।
বন্ধুর দাবি, তারপর দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পর নিরঞ্জন না ফেরায় তাঁকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু নিরঞ্জনের মোবাইল বন্ধ ছিল। এরপর একাই ফিরে আসেন তিনি। রাত একটা নাগাদ তারাপীঠ থানার পুলিশের কাছ থেকে দেহ উদ্ধারের ফোন পান তাঁরা। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারাপীঠ থানার পুলিশ। এদিকে নিরঞ্জনের বন্ধুর বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁকে ফোন করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন সুইচ অফ আসে। অবশেষে রাত একটা নাগাদ খবর আসে যে নিরঞ্জন মারা গিয়েছে।