গ্রিন কার্ডের ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান ইউএস ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের

আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখানকার কোনও প্রতিষ্ঠানের বৈধ কর্মী হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য। এই কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের মাথাব্যথা ছিলই। এদিকে সূত্রে খবর মিলছে, এই কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে আরও কড়া অবস্থান নিচ্ছে ইউএসের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট।

আমেরিকার প্রথম সারির থিঙ্কট্যাঙ্ক সংস্থা ‘দ্য ক্যাটো ইনস্টিটিউট’-এর দাবি, চলতি বছরে মাত্র ৩ শতাংশ আবেদনকারীকে গ্রিন কার্ড দেবে আমেরিকা। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, গ্রিন কার্ড ইস্যু করার ক্ষেত্রে ১৯৯০ সালের পর থেকেই কড়াকড়ি নীতি নিয়ে চলছে আমেরিকা। মাঝে এই রীতি কিছুটা শিথিল করা হয়। এদিকে ক্যাটো ইনস্টিটিউট একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানিয়েছে, ২০২৪-এ এখনও পর্যন্ত ইউএস গ্রিন কার্ডের জন্য ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে।

এর মধ্যে নতুন আবেদনের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের ব্যাকলগও রয়েছে। চাকরি-ভিত্তিক গ্রিন কার্ডের জন্য আলাদা করে জমা পড়েছে ১৮ লক্ষ অ্যাপ্লিকেশন। এর মধ্যে আমেরিকায় পাকাপাকি বসবাসের জন্য ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৮ শতাংশ আবেদনকারীকে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হবে বলে দাবি ক্যাটো ইনস্টিটিউটের।

যার অর্থ, প্রায় সাড়ে তিন কোটি গ্রিন কার্ড অ্যাপলিকেশনের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে ছাড়পত্র দেবে ইউএস ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট। সব মিলিয়ে, আমেরিকা এবার অনেকটাই হাত গুটিয়ে নেওয়ায় গ্রিন কার্ড প্রত্যাশী অভিবাসীরা চাপ পড়তে চলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে তাঁদের ভাবাচ্ছে দীর্ঘ ব্যাকলগও। গত বছর সেপ্টেম্বরে ক্যাটো ইনস্টিটিউটই সমীক্ষা করে জানিয়েছিল, আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের ছাড়পত্র গ্রিন কার্ড পাওয়ার ওয়েটিং লিস্টে ১০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়ের নাম রয়েছে। যার মধ্যে গ্রিন কার্ড পাওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে চার লক্ষেরও বেশি মানুষ অপেক্ষারত অবস্থাতেই মারা যেতে পারেন, বলেও ইঙ্গিত দেয় সংস্থাটি।

এমনকী, যে গতিতে গোটা প্রক্রিয়া এগোচ্ছে, তাতে এই ওয়েটিং লিস্ট ক্লিয়ার হতে ১৩৪ বছর সময় লাগবে বলেও দাবি করা হয় ওই সমীক্ষায়। এদিকে এই ব্যাকলগের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আমেরিকায় সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের দাবি, ইউএস কংগ্রেস লিমিট বাড়াচ্ছে না বলেই অ্যাপ্লিকেশনের পাহাড় জমছে ইমিগ্রেশন অফিসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 6 =