ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। মধ্যরাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তকে। শুক্রবার প্রায় ১০ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়েই আটকে ছিলেন তিনি। এদিন একটি সিন্ডিকেট বৈঠক ছিল। আর সেই বৈঠক নিয়েই অভিযোগ জানাতে শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের প্রশ্ন, অবসর নেওয়ার পরও কীভাবে মিটিং ডাকছেন উপাচার্য। উপাচার্যকে আটকে রাখতে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। দুপুর ২ থেকে নিজের ঘরেই আটকে ছিলেন উপাচার্য। এরপর মধ্যরাতে পুলিশের সাহায্যে ছাড়া পান তিনি।
শুক্রবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ শুরু হলেও, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভের মাত্রাও বাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তালা ভাঙা হলে, আবার তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ১০ ঘন্টা আটকে থাকার পর রাত ১২ টা নাগাদ বেরোন উপাচার্য। বেরনোর সময়ও টিএমসিপি-র তরফ থেকে তাঁর গাড়ির সামনে বসে পড়ে স্লোগান দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারী ছাত্রদের মূল প্রশ্ন ছিল, মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কীভাবে অবৈধভাবে ভিসির পদে রয়েছেন শান্তা দত্ত তা নিয়ে। সঙ্গে এ প্রশ্নও তোলা হয় কেন ডাকা হচ্ছে সিন্ডিকেটের বৈঠক বা কেন এখনও গাড়িতে নীল বাতি ব্যবহার করছেন তিনি প্রশ্ন তোলা হয়েছে সে ব্যাপারেও। একইসঙ্গে আন্দোলন যে আগামিদিনে বৃহত্তর মাত্রা নেবে, সেকথাও জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁরা বলছেন, উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে নোটিস দেওয়া হলেও, তা অমান্য করে বৈঠক ডেকেছেন শান্তা দত্ত।
আরও অভিযোগ, টিএমসিপি-র যে সব সদস্য তথা ছাত্র পিএইচডি-তে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছেন, তাঁদের রেজাল্ট ১১ মাস ধরে আটকে রাখা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য় করেত নারাজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।