‘হিংসা বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করতে হবে দুর্নীতি৷’ শনিবার নিজে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য়ের হাল কী তা দেখতে বেরিয়ে সন্ধায় এমনটাই জানালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজ্যপাল এও জানান, ‘এদিন আমি যা দেখলাম, তা দুর্ভাগ্যজনক। হিংসা, খুন হয়েছে। গরিবরা মারা গেছেন। নেতারা সেখানে ছিলেন না। রাজনীতি ছিল, সাথে হিংসা ছিল। হিংসা কারওর নয়। আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে, যাতে রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি পুনস্থাপন হয়। সমাজে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান প্রয়োজন। আমার শান্তির মিশন অব্যাহত থাকবে।’ প্রসঙ্গত, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়৷ বিক্ষোভের মুখেও পড়েন৷ দিনভর ভোটপর্ব চলার পরে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকেই তৎপরপতা দেখাতে শুরু করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং যেখানে হিংসার খবর শুনেছেন, ছুটে গিয়েছেন সেখানে৷ আগেই বলেছিলেন, শান্তিশৃঙ্খলার প্রশ্নে তিনি কোনও আপস করতে রাজি নন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিও সকাল থেকে রাজভবনে বসে থাকতে দেখা যায়নি রাজ্যপালকে৷ নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়৷ উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরের কাছে সিপিআইএম কর্মীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়ে তাঁর গাড়ি।
রাজ্যপালের এই তৎপরতা নিয়ে অবশ্য তাঁকে বিঁধতে ছাড়েনি তৃণমূল৷ তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল প্রথম দিন থেকেই প্ররোচনা দিচ্ছেন। রাজ্যপাল একজন খাঁচায় বন্দি তোতা। আসলে তিনি একটা দলের কথায় চলছেন।সরকারকে নিষ্ক্রিয় করতে চাইছেন। আমরা তো সব নির্দেশ মানছি।কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলব দলকে।’ একইসঙ্গে শোভনদেব এও জানান, ‘বিরোধীরা পরিকল্পিত চক্রান্ত করছে। কোনও মৃত্যু আমাদের কাছে কাম্য নয়।’ এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, ‘রাজ্যপালের ভোট নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে তিনি তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারতেন। জানাতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনকেও৷’