মাইক্রোসফট সার্ভারে বড়সড় বিভ্রাট। শুক্রবার ১৯ জুলাই মাইক্রোসফট সার্ভার বিভ্রাটের জেরে এক নিমেষেই থমকে যায় পৃথিবী!যার জেরে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ খুললেই নীল হয়ে যায় স্ক্রিন। সেখানে ফুটে ওঠে একটি লেখা। যাতে বলা হচ্ছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সমস্যা রয়েছে। বিমানবন্দর, ফ্লাইট, ব্যাংক ও শেয়ারবাজার সবই বন্ধ, মাইক্রোসফটের সার্ভারে বড়সড় ত্রুটি। যার প্রভাব পড়ে ব্যাঙ্ক-রেল-বিমান পরিষেবার উপর৷
মাইক্রোসফটের সার্ভারে গোলযোগের কারণে ভারতসহ সারা বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাইক্রোসফটের সার্ভারে গোলযোগের জেরে বিমানবন্দর, ব্যাঙ্ক এবং স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শুরু করে নিউজ চ্যানেল সব কিছুর ওপরেই এর প্রভাব পড়ে। সার্ভার বিভ্রাটের কারণে থমকে যায় লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ পরিষেবাও। পাশাপাশি আমেরিকায় বন্ধ থাকে শতাধিক বিমান। একইসঙ্গে ভারতের অনেক বিমানবন্দরেও এর প্রভাব পড়ে। মাইক্রোসফ্টের সার্ভারে একটি সমস্যার কারণে স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা জানায়। পাশাপাশি স্পাইসজেট একটি বিবৃতি জারি করে বলে, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সমস্ত অনলাইন পরিষেবা প্রভাবিত হয়েছে। বিমানবন্দরগুলিতে ম্যানুয়াল চেক-ইন এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়াগুলি সক্রিয় করে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে’। দিল্লি, মুম্বই, বার্লিন এবং সিডনি বিমানবন্দরে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। আমেরিকা ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতি জারি করে যে সার্ভার সমস্যার কারণে ১৩১ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে জানানো হয়, আমাদের সিস্টেমগুলি বর্তমানে মাইক্রোসফ্ট বিভ্রাটের জেরে প্রভাবিত হয়ে পড়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরে অনলাইন পরিষেবা পুরোপুরি থমকে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে সার্ভার সমস্যার অস্ট্রেলিয়ার নিউজ চ্যানেল এবিসির সম্প্রচার ব্যাহত হয়। সার্ভার সমস্যার জেরে ব্রিটিশ রেলওয়ে তার সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে।মাইক্রোসফ্টের সার্ভারে ডেনমার্কে ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করছে না বলে খবর। সার্ভার বিকলের জেরে আমেরিকায় ৯১১ সার্ভিস কাজ করছে না। ব্রিটেনের রেল পরিষেবাও এই গোলযোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রিটেনে স্কাই নিউজের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। নেদারল্যান্ডসের বিমান পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমেরিকায় স্কাই নিউজের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
মাইক্রোসফটের সার্ভারে ত্রুটির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমেরিকার ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্স। ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতি জারি করেছে যে সার্ভার সমস্যার কারণে ১৩১ টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ২০০ টির বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। এই ত্রুটির কারণে আমেরিকার জরুরি পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এদিকে মাইক্রোসফ্ট বলেছে যে আমরা ক্রমাগত পরিষেবাগুলি উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমরা এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন। কী কারণে এই ত্রুটি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।