স্ট্রিটফুড হিসেবে মোমোর কদর আলাদা ছোট থেকে বড় সবার কাছেই। ক্ষিদে পেলেও আজকাল আমরা খেয়ে নিই একপ্লেট মোমো। কিন্তু ফাস্টফুডের বেশিরভাগ জিনিসই ময়দার তৈরি,যা সরাসরি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।
এদিকে পুশ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মোমো ভাজা হোক বা সেদ্ধ,সবই বিপজ্জনক। এই মোমো যে শরীরের কতটা ক্ষতি করছে তা ভাবতেও পারেন না অনেকেই। সঙ্গে পুষ্টিবিদরা এও জানাচ্ছেন, যখন-তখন মোমো খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয়। অনেক পুষ্টিবিদ বলে থাকেন, অতিরিক্ত মোমো আপনার জীবনকে ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
যেমন,
অন্ত্রের জন্য ক্ষতি: প্রতিদিন এটা খাওয়া শরীরের জন্য বিরাট ভুল। কারণ ময়দার তৈরি মোমো অনেক সময় ঠিকমতো হজম না হলে তা অন্ত্রে লেগে যায় এবং অন্ত্রে বিভিন্ন কাজে বাধা দিতে পারে। যা থেকে বিরাট ক্ষতি হতে পারে শরীরের।
কিডনির ক্ষতি: যে ময়দা থেকে মোমো তৈরি হয়, তা রাসায়নিক দিয়ে পালিশ করা হয়। এই রাসায়নিকের নাম বেনজয়াইল পারক্সাইড। এই রাসায়নিক ব্লিচ আমাদের শরীরে গিয়ে কিডনি ও প্যানক্রিয়াসের ক্ষতি করে। এছাড়াও এই ময়দা শরীরে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
রক্তপাতের ঝুঁকি: মোমোর সঙ্গে যে লাল লঙ্কার চাটনি পরিবেশন করা হয়। এই ঝাল মশলাযুক্ত চাটনি মোমোর সঙ্গে নিয়মিত খেলে পাইলস এবং গ্যাস্ট্রাইটিসের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়াও এই চাটনি পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।
ওজন বাড়তে পারে: সাদা ময়দার তৈরি মোমো যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি ক্ষতিকর। এটি প্রতিদিন খেলে অনেক রোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ,মোমো বিক্রেতারা যে রাসায়নিক ব্যবহার করে সেটি হল মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট। এই রাসায়নিক মোমোর স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে কাজ করে। এই ধরনের রাসায়নিক ময়দা খেলে স্থূলতা, মস্তিষ্ক ও লিভারের সমস্যা, বুকে ব্যথা, হৃদস্পন্দন, ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি: অতিরিক্ত মোমো শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়িতে দেয়। অনেক সময়েই মোমো বাসিও থাকে,যা শরীরে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।