ছাতা ধরা নিয়ে প্রবল বিতর্ক বঙ্গ রাজনীতিতে

কে কার মাথায় ছাতা ধরছে, তা নিয়েই চর্চা এখন বঙ্গ রাজনীতিতে। কিছুদিন আগে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিয়ো টুইট করেছিলেন। তাতে দেখা যায়, শাসক দলের নেতার পাশে এক উর্দিধারী পুলিশকর্মী ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। আর নেতা বক্তব্য রাখছেন হাতে মাইক নিয়ে। তা নিয়ে তুমুল জলঘোলা হয় বাংলার রাজনীতিতে। এরপর পাল্টা ছবি প্রকাশ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে আবার দেখা যাচ্ছে বিজেপির এক নেতার পিছন দিকে ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও এক জওয়ান। আর এই নিয়েই কটাক্ষ করে কুণালের প্রশ্ন, নেতার মাথায় ছাতা ধরা কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের কাজ কি না তা নিয়ে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, তাতে দেখা গিয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি দুর্গাপুর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদও বটে। তাঁর অবশ্য সেই সময় বক্তব্য ছিল, কে কোথায় ছাতা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন, তা তাঁর জানা নেই। নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা মঞ্চের নীচে ছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। আর এবার কুণাল ঘোষের পোস্টে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে। যদিও কুণালের দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির এই বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, ওই জওয়ান তাঁর মাথায় ছাতা ধরেননি। লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, তিনি মঞ্চে সামনের দিকে ছিলেন। আর ওই জওয়ান ছিলেন পিছনের দিকে। ফলে বিধায়ক বৃষ্টিতে ভিজছিলেন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান নিজের মাথায় ছাতা ধরে রেখেছিলেন। সঙ্গে এও জানান, তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তাই ওই জওয়ান সেখানে ছিলেন। একইসঙ্গে প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি  দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ। বলেন, ‘প্রভাত চট্টোপাধ্য়ায় কে? উনি কাটমানি তুলে পাঠান, তাই পুলিশ তাঁকে সুরক্ষা দিচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টের পাল্টা দেওয়ার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমূল। তাই এসব করছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =

preload imagepreload image