পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পেপারের তিনটে রং হওয়ার পিছনেও রয়েছে কারণ

দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। লোকসভা বা বিধানসভা ভোটের থেকে অনেকটা আলাদা এই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটে ইভিএম ব্যবহার হয় না। থাকে ব্যালট পেপার। আর থাকে তিনটে আলাদা বাক্স। বাংলার এই পঞ্চায়েত ভোট ত্রিস্তরীয়। অর্থাৎ, তিনটি পর্যায় রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সমতি। জেলা পরিষদ।  একজন ভোটার যখন ভোট দিতে ঢোকেন তখন বুথের ভিতরে ভোটকর্মী তাঁর হাতে তিনটি আলাদা রঙের কাগজ ধরিয়ে দেন। একটি ক্রিম রঙের, একটি গোলাপি রঙের এবং একটি হলুদ রঙের। এগুলোকে বলা হয় ব্যালট পেপার। সেখানে প্রার্থীদের নাম উল্লেখ করা থাকে। ব্যালট পেপারগুলি নিয়ে ভোটাররা চারিদিক থেকে ঘেরা ভোটদানের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যান। সেখানে গিয়ে তিনটি আলাদা আলাদা কাগজে পছন্দের প্রার্থীর নামের প্রতীকে ছাপ দেন। এরপর কাগজ গুলিকে ভাঁজ করে নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলে দেন। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে কেন তিনটি আলাদা আলাদা রং হয় ব্যালট পেপারের? এর পিছনে আদৌ কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে কিনা তা জেনে নেওযা যাক।

গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ, তিনটি স্তরেই প্রতিটি দলের আলাদা আলাদা প্রার্থী। এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের জন্য থাকে ক্রিম রঙের ব্যালট পেপার। গোলাপি পেপার থাকে পঞ্চায়েত সমিতির জন্য এবং হলুদ রঙের ব্যালট পেপার থাকে এবং জেলা পরিষদের জন্য। সেগুলিতেও সংশ্লিষ্ট স্তরে যে যে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁদের নাম ও প্রতীকের তালিকা থাকে।আবার কোনও দল কোনও একটি জায়গায় তিনটি স্তরে প্রার্থী নাও দিতে পারে। যেহেতু তিনটি স্তরে ভোট গণনা তাই একই রঙের ব্যালট পেপার হলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হতে পারেন। আবার ভোট গণনার সময়েও সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে আলাদা আলাদা ইউনিট থাকে প্রতিটি স্তরের জন্য। যাতে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।

ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার পর কীভাবে তা ভাঁজ করবেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় ভোট কেন্দ্রের পোলিং অফিসাররা ভোট দাতাদের বুঝিয়েও দেন কীভাবে ভাঁজ করতে হবে। কারণ, ভাঁজে ভুল হলে আপনার ভোটটি বাতিল হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ, তা গণ্য হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − five =