২৪ ঘণ্টার মধ্যে একেবারে ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল শেখ শাহাজাহানের। সন্দেশখালির ঘটনায় সেখানকার স্বঘোষিত ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। এরই সূত্রে সামনে আনেন বিজেপি-র কথা। ঠিক একদিনের ব্যবধানেই ইউটার্ন তাঁর। জানিয়ে দিলেন তাঁর কোনও অভিযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, রবিবার শাহজাহানকে নিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে যাচ্ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বিজেপি-র কে বা কারা তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তা নিয়েই। নামও জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁকে। কিন্তু সন্দেশখালির বাঘ কারোর নাম বলা তো দূর, উল্টে বলে দিলেন, কোনও অভিযোগই নেই। একদিনের ব্যবধানে এই পাল্টি খাওয়ার কারণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা, ,দল যে দূরত্ব তৈরি করেছে শাহজাহানের সঙ্গে সেই বার্তা হয়ত পৌঁছে গিয়েছে তাঁর কাছে। আগেই তৃণমূল শাহজাহানকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল। শুধু তাই নয়, শিবু-উত্তম-শাহজাহানরা সন্দেশখালিতে না থাকার কারণে ইতিমধ্যেই দলের রাশ তাঁদের বিরোধীদের হাতেও চলে যাচ্ছে। এদিকে ২০২০ সালের ১৪ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভোলা ঘোষ। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, শাহজাহানদের ‘অত্যাচারেই’ ঘরছাড়া হতে হয় তাঁকে। সেই ভোলাই আবার ফিরেছেন দলে। শনিবার রাজবাড়ির সভায় দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়ে ফিরেছেন তৃণমূলে। একই সঙ্গে ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুও সেদিন যে বার্তা দিয়েছেন তাতে শাহজাহান-শিবু এখন অতীত। এমনকী বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নরুলও বলে দিয়েছেন শাহজাহান চ্যাপ্টার ক্লোজড। এই সবে মিলেই বিশ্লেষকদের মত যে, সন্দেশখালিতে হয়ত দাপট শেষ হতে চলেছে শাহজাহানের। আর তা বুঝতে পেরেই সেফ সাইডে যতটুকু থাকা যায় সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে শেখ শাহজাহান।