পরিবার অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে চাইলে কোনও আপত্তি নেই, জানালেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার

আরজি করের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান কলকাতার নগরপাল বিনীতকুমার গোয়েল। এদিকে কলকাতা পুলিশ এসআইটি গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে পরিবার অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে চাইলে তাতে কোনও আপত্তি নেই বলেও জানান কলকাতা পুলিশ কমিশনার। সঙ্গে এও জানান, ‘এই ঘটনার জন্য আমরা চিন্তিত, উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ।’

সিপি বিনীত গোয়েল এও বলেন, ‘যদিও ওদের কোনও দাবি থাকে, পরিবার চাইলে তারা অন্য কোনও এজেন্সি দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। আমাদের তরফে কোনও আপত্তি নেই। দোষী সর্বোচ্চ অপরাধী। আমরা দেখব যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।’ পাশাপাশি এও জানান, ধর্ষণ ও খুনের মামলা শুরু হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সিপি বিনীত গোয়েল বলেন, ‘ শুক্রবার সাড়ে ১০টা নাগাদ টালা থানায় খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং হোমিসাইড পৌঁছয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সাক্ষী এবং বাবা মায়ের উপস্থিতিতে ইনকুয়েস্ট করা হয়। তারপর ময়না তদন্ত করা হয়, ভিডিয়োগ্রাফিও করা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতভর তদন্ত চলে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা একজনকে গ্রেফতারও করেছি। তদন্ত চলছে। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় দুঃখিত।’

এর পাশাপাশি বিনীত গোয়েল এও জানান, তাঁদের কাছে আরজিকরের চেস্ট মেডিসিনের এক ছাত্রীকে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে থানা, ডিডি হোমিসাইড সেকশন ঘটনাস্থলে যায়। পোস্ট মর্টেমও করা হয়। তার জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। সেখানে দু’জন মহিলা সদস্য ছিলেন। মোট তিনজন চিকিৎসকের বোর্ড ছিল। ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। সেখানে পরিবারের লোকেরা, পড়ুয়ারা সাক্ষী হিসাবে ছিলেন। পোস্ট মর্টেমের পর এসআইটি গঠন করা হয়। ডিসি ডিডি স্পেশাল নেতৃত্বে আছেন সেই এসআইটির। অ্যাডিশনাল সিপি সুপারভাইজ করছেন। সাতজনের মধ্যে টালা থানার অফিসারও আছেন, ডিডির অফিসারও আছেন বলে জানান সিপি। সিসিটিভি দেখা হয়েছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’  একইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস সবরকম স্বচ্ছতা বজায় রেখেই তদন্ত এগোবে।

ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠছে, অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের আওতাধীন একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তবে এ প্রশ্নের উত্তর সিপি দেননি। এই প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ‘আমাদের চোখে উনি একজন অপরাধী। যাই হোন তিনি একজন অপরাধী। ঘৃণ্য অপরাধে যুক্ত তিনি। সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’ এর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে এ প্রশ্নও করা হয়, অভিযুক্ত ঘটনার রাতে কেন তিনি সেমিনার হল চত্বরে গেলেন তা পুলিশ জানতে পেরেছে কি না। এই প্রসঙ্গে এখনও এ নিয়ে কোনও জবাব অভিযুক্ত দেননি বলেই জানান নগরপাল। বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই গ্রেফতার করা হয়।

আরও একটি অভিযোগ উঠেছে, পরিবারকে না জানিয়ে ওই চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ বার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিনীত গোয়েলের বক্তব্য, ‘সকলে দেখেছেন পরিবার সেখানে ছিল। ইনকুয়েস্ট থেকে শুরু করে ডাক্তার, জুনিয়র ডাক্তার, পিজি স্টুডেন্ট, পরিবার সকলে ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 3 =