প্রাথমিক শিক্ষকদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে  বাধা নেই, জানালেন বিচারপতি সিনহা

ভোটের কাজে বিএলও কারা সে ব্যাপারে এবার নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবর ২০২২এর নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনে কাজ বন্টন করতে হবে বিএলওদের। সঙ্গে এও জানান, প্রাথমিক শিক্ষকদের বিএলওর কাজ দিতে হবে ছুটির দিন, ননটিচিং সময়ে। এরই পাশাপাশি বিএলওদের একাংশের মামলায় নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে এদিন হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেল না হাইকোর্টের বিচারপতি সিনহাকে। প্রসঙ্গত, কল্পবিশ্ব চক্রবর্তী সহ প্রাথমিক শিক্ষকদের করা মামলায় অভিযোগ ছিল গাইডলাইন মেনে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়। সেই মামলাতেই এহেন পর্যবেক্ষণ অমৃতা সিনহার।

এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারীদের আইনজীবী সুবীর স্যানাল সোমবার আদালতে উল্লেখ করেন, মামলাকারীরা সবাই প্রাথমিক শিক্ষক। তাদের বিশেষ ক্যাম্পেনিংএ অংশ নেওয়া তাদের কাজ। ছুটির দিনের কাজ নয়, এটা প্রতিদিনের কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আবার স্কুলের কাজ করতে হবে না, এটাও বলা হয়নি। কত দিন কাজ করতে হবে সেটা স্পষ্ট নয় বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে স্কুলের সময়ের বাইরে ছুটির দিন কাজ করার কথা বলা হচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে মামলাকারীর আইনজীবী এ প্রশ্নও তোলেন, ক্ষমতা আছে বলেই তা কমিশন চাপিয়ে দিতে পারে কি না তা নিয়েও। সঙ্গে এ তথ্যও দেন, নবদ্বীপ, বামনগাছির মতো জায়গায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক ইলেকটোরাল রোল রিভিশন করার কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, কমিশনের তরফে আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, ‘বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও বাড়িতে গিয়ে তথ্য নিয়ে আসেন। কমিশন একা সিদ্ধান্ত নেয় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই করে। সবাইকে যে ডাকা হবে, এমন নয়।’ একজনই শিক্ষক আছেন, এমন স্কুলের শিক্ষককে কাজ দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বিচারপতি সিনহা সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই।’ বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে এও বলেনআইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের এই কাজের কথা আছে। গোটা দেশ আপনাদের কাছে প্রত্যাশা করছে। কাজ করুন।
সোমবার এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষকদের বিএলও হিসেবে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা রইল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 1 =