শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ঘোরাফেরা করছে ৫৪ থেকে ৯৪ শতাংশের আশপাশে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী চার থেকে পাঁচদিন এই একই ছবি দেখা যাবে। এর পাশাপাশি আকাশ মোটের উপর শুষ্ক থাকবে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। একই ছবি দেখা যাবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও।
তবে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি না হলেও কুয়াশার দাপট জারি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দেখা মিলবে। তবে উত্তরবঙ্গের জন্য থাকছে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। সবথেকে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলাতে। তবে এই জেলাগুলিতে রবি-সোমবার থেকে কুয়াশার দাপট কিছুটা কমতে পারে। আবহাওয়া দফতর বলছে পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কতটা সিকিমের উপর পড়ে তার উপর নির্ভর করছে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি।
অন্যদিকে হাওয়া অফিস বলছে শুধু রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আশপাশের জেলাগুলিতে সামান্য পারা পতন হতে পারে। তবে এই পারপতন বড় মাত্রায় হবে না। ফলে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা এখনই নেই। উল্টে ২৪ ঘণ্টা পর থেকে কিছুটা হলেও চড়তে পারে পারা। তবে এই একই রকমের ওঠানামা চলবে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন।