বাংলায় দানা বেঁধেছে চাপা বার্ড-ফ্লু আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই মুরগির মাংস দেখলেই চোখ কুঁচকাচ্ছেন অনেকে। ডিমও আর পাতে নিচ্ছেন না বহু। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বিবেক কুমার। জানালেন বার্ড ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কের ব্যাপার নেই। এই প্রসঙ্গে সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে প্রাণী সম্পদ বিভাগের বিবেক কুমার জানান, মালদহতে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে দুজন শিশু। এর প্রেক্ষিতে মানুষের ভিতরে কিছু আতঙ্ক এবং বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এতে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। মালদহতে একটি শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জা কেস হয়েছে। সেই কেসটা মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে রেস্পিরিটেরি ইলনেসের জন্য এডমিট করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, যা চিকিৎসা করা দরকার সেই চিকিৎসা করা হয়েছে। দুমাসের স্যাম্পেল কালেক্ট করে টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছিল। তাতে দেখা যাচ্ছে, এইচ৯১২ বলে ভাইরাস যা মানুষের সঙ্গে মানুষের ট্রান্সফার বা মানুষের সঙ্গে পশুর ট্রান্সফার সচরাচর হয় না।
সঙ্গে এও জানান, কলকাতা থেকে বিদেশে আরও একজন গিয়েছিলেন এবং বিদেশ থেকে তথ্য আসে, সেই ব্যক্তির এইচ৫এন১ ভ্যারাইটি কেস পাওয়া গিয়েছে। এরপরই যে এলাকায় তাঁরা থাকতেন সেই এলাকা খুব নিখুঁতভাবে পরীক্ষা করা হয়। এবার ওই দুজনের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাঁদের ভিতরেও কিন্তু এই জীবাণু সংক্রমিত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। মালদহতে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ চলছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের স্পষ্ট ঘোষণা, মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও পোলট্রি বার্ডের মৃত্যু হয়নি। পোলট্রি মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব জানান, ‘বার্ড-ফ্লু রাজ্যে ধরা পড়েছে, এটা নিয়ে আশঙ্কার কিছু নেই। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ- রয়েছে। রাজ্যে এর কোনও সোর্স নেই। এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু-র নমুনা পাওয়া যায়নি।’ সঙ্গে এও জানানো হয়, এপ্রিল-মে মাসে রাজ্যে ১,৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মালদহে যেখানে আক্রান্তের হদিস মিলেছে, সেখানেও এপ্রিল-মে মাসে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই নমুনাগুলিতে বার্ড ফ্লু ভাইরাস মেলেনি।স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকেও কোনরকম কোন নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে না।