সংখ্যা গরিষ্ঠতায় নয়, কার্যত জোটসঙ্গীদের কল্যাণে তৃতীয়বারের জন্য দিল্লির কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এবার কেন্দ্রের প্রতিপক্ষ বিরোধী জোটও বেশ শক্তিশালী। আর এই সরকার যে খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না, প্রথম দিন থেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরে অর্থাৎ বিরোধী এক জোট শরিককে পাশে নিয়ে শুক্রবার ফের সেকথাই বলতে শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিরোধী জোট খুবই শক্তিশালী এই মুহূর্তে। সরকারকে পদে পদে চাপে ফেলতে প্রস্তুত বিরোধীরা।
আম্বানিপুত্র অনন্তের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে দুদিনের সফরে মুম্বই গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই এক সফরে তিনি একাধিক কর্মসূচি রেখেছেন। তারই একটা বিরোধী ইন্ডি জোটের অন্যতম শরিক উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক। শুক্রবার বিকেলে মাতোশ্রীতে দুজনের মধ্যে আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা। ছিলেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্যও। সেখানে একাধিক বিষয় কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্ধব ঠাকরে বার বারই উল্লেখ করেন, ‘দিদি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ একেবারেই পারিবারিক, রাজনৈতিক কোনও কথা হবে না। তিনি নিজে কোনও রাজনৈতিক কথা বলেনওনি।
তবে তৃণমূলনেত্রী ন্যায় সংহিতা আইন লাগু নিয়ে কেন্দ্রকে একপ্রস্ত আক্রমণ করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে টিকবে সরকার? বিরোধী জোটের শক্তি নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটে কংগ্রেসের অংশ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বাংলায় তো কংগ্রেস, সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোট নেই। আমরা তো সিপিএমকে হারিয়েই ক্ষমতায় এসেছি। তাই ওদের হাত ধরে চলব না। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস-সহ সকলে আমরা একসঙ্গে আছি। আর আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।’ এই সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের জেলবন্দি করা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।