এবার ‘গ্রামে চলো’ বার্তা বঙ্গ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের

ছাব্বিশের নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদলের আশায় বুক বাঁধছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এমনই এক প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে সল্টলেকে বিজেপির দফতরে বৈঠকে বসেন সুকান্ত মজুমদাররা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। আর এই বৈঠকেই ‘গ্রাম চলো’-র বার্তা দিলেন বিজেপি নেতারা।
এদিকে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন এখনও শেষ হয়নি। রাজ্যে বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। তার মধ্যে ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। এখনও ১০টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নির্বাচন বাকি। এর পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারই থাকবেন, নাকি অন্য কেউ এই পদে বসবেন সে ব্যাপারেও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমনই এক এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল যুব মোর্চার সভাপতি ও মহিলা মোর্চার সভানেত্রীদেরও।  ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকরা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারীরা। ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতিরাও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আর যে জেলাগুলিতে এখনও নির্বাচন বাকি, সেই জেলাগুলির বর্তমান সভাপতিদের দেখা গেল এদিন।
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর,বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রাম-গঞ্জের ভোটে আরও নজর দিতে চায় গেরুয়া শিবির। তাই, নেতাদের গ্রাম-মুখী করতে উদ্যোগী হয়েছেন সুকান্তরা। বাম আমলে দেখা গিয়েছে, গ্রামের ভোটারদের ভোটই প্রধান শক্তি ছিল বামেদের। এখন তৃণমূলের ক্ষেত্রেও তাই। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, কলকাতার বাইরে শহরাঞ্চল বা পুর এলাকাগুলির অনেক জায়গায় তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে বিজেপি। কিন্তু, গ্রামাঞ্চলে শাসকদলের চেয়ে অনেকটাই পিছনে গেরুয়া শিবির। কয়েকদিন আগে গ্রাম চলো নিয়ে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। এবার তাতে আরও জোর দেওয়ার বার্তা দেওয়া হল এদিনের বৈঠকে। জেলাগুলিতে সংগঠনের হালও সভাপতিদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + three =