সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকারের তৈরি রিভিউ পিটিশনের খসড়ায় ‘সন্তুষ্ট’ চাকরিহারারা। সোমবার রাজ্যের শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা একপ্রকার স্পষ্ট করে জানান,নতুন করে কেউ পরীক্ষায় বসবেন না। এরপর সাংবাদিক বৈছকে আরও এক পা এগিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হাবিবুল্লা বলেন,’আমরা একাধিক দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুটা আশ্বস্ত হলেও, আমরা সব প্রশ্নের উত্তর পাইনি। তাই এবার আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী।’
প্রসঙ্গত, সোমবার শিক্ষাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের ৬ প্রতিনিধি। বেরিয়েই তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কিন্তু বাকি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা আলোচনার বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপরবিকাল সাড়ে চারটেয় বসেন সাংবাদিক বৈঠকে। তখনই স্পষ্ট করে দেন, আন্দোলনের রূপরেখা। চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি হাবিবুল্লার বক্তব্য,’ আমাদের আধিকারিকদের দুর্নীতি দায়ী, কিন্তু আদালত আমাদের দিকটা দেখেনি, আমাদের সঙ্গে ন্যায় হয়নি। আমরা কীভাবে আন্দোলন দিল্লিমুখী করব, তা পরবর্তীকালে স্পষ্টভাবে জানানো হবে। পুনর্বিবেচনার যে আর্জি জানানো হয়েছে, সেটা যেন পুনর্বিবেচিত হয়।’ সঙ্গে তিনি এও জানান, ‘শিক্ষামন্ত্রী থাকলে আলোচনা আরও ভাল হতে পারত। শিক্ষামন্ত্রী কেন দেখা করলেন না, জানি না। তবে আজকের মিটিং কিছুটা সদর্থক।’পাশাপাশি বলতে ভোলেননি, যে রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল। ফলে পরবর্তীকালে কোনও প্যানেলে যদি ২-৩ শতাংশও দুর্নীতি হয়ে থাকে, পুরো প্যানেলটাই বাতিল হবে।
এই প্রসঙ্গে চাকরিহারা এক শিক্ষক জানান, ‘আমরা চেয়েছিলাম, শিক্ষামন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। সেটা হয়নি। আমরা প্রথমেই তো সন্তুষ্ট হলাম না। কারণ সচিব তো আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর আমরা পাইনি। যাঁরা দিতে পারবেন, তাঁদেরই সাক্ষাৎ চাইছি।’
এর পাশাপাশি চাকরিহারারা এও জানান,বঞ্চনার কথা জানিয়ে বাংলার সমস্ত বিধায়ক সাংসদ, বাকি রাজ্যের সাংসদদেরও চিঠি দেবেন চাকরিহারারা। পার্লামেন্টে যাতে তাঁদের বিষয়টি তুলে ধরা হয়, সেটার আবেদন জানাবেন বলেও জানান।