মালয়েশিয়ার লিনকন কলেজে চিকিৎসার এমডি ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা হচ্ছে ভারত থেকে। ৫ বছর বা ৬০ মাসের কোর্সের মধ্যে মাত্র আড়াই মাস মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা। বাকি সাড়ে সাতান্ন ভারতে বেসরকারি হাসপাতালে ক্লাস করানো হয়। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন, মেডিকেল কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে চলছে ডাক্তারি ডিগ্রি প্রদান, এমনই অভিযোগ। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে পুরো বিষয়ের তদন্ত চাইছে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (এনএমসি)। জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ৫ জন নিট উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন মালয়েশিয়ার লিনকন ইউনিভার্সিটিতে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এমডি ডিগ্রি পান প্রত্যেককেই। এদিকে নিয়ম অনুসারে বিদেশি এমডি ডিগ্রি হোল্ডারদের ভারতে ডাক্তারি ডিগ্রির সমতুল্য হতে হলে দিতে হয় পরীক্ষা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট এক্সাম পরীক্ষায় বসে ৫ জনই উত্তীর্ণ হন। কিন্তু তবুও এফএমজি সার্টিফিকেট না পাওয়ায় হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে মামলা করেন।
বিদেশি ডিগ্রিপ্রাপকদের প্রশ্ন, ২০১৮ সাল থেকে ক্লাস হল, কেন এত দিন এই অভিযোগ করা হল না? সেই সঙ্গে ২০২৩ সালে বিদেশি ডিগ্রি পাওয়ার পর দেশের এফএমজি পরীক্ষায় বসার অনুমতি কেন দেওয়া হল? তাঁদের আরও বক্তব্য, ডিগ্রি বিদেশের, সেই ডিগ্রি খতিয়ে দেখা হল না কেন এতদিন? অন্য দিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের দাবি, এফএমজি পরীক্ষার পর থেকেই বিষয়টি নজরে আসে তাই আর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলে এনএমসি, এবার তারা পুরো বিদেশি ডিগ্রি কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চায়। কেন দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে সেই নিয়ে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এনএমসিকে দুর্নীতির স্বপক্ষে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।