লড়াইয়ের রাস্তায় এবার তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকায় প্রচার, সভা, জনসংযোগের পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিরোধীদের রাজনৈতিক ভাষায় জবাব দিতে চায় শাসক দল। কারণ, আরজি কর ইস্যুতে বিরোধীরা প্রতিদিন রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে আলোচনায় উঠে এসেছে, নেতানেত্রীদের চুপ থাকার বিষয়টি।
দলের অন্দরে আলোচনায় যে ঘটনাটি উঠে আসে তা হল তৃণমূলের নেতানেত্রীরা চুপ করে থাকায় সুযোগ পেয়েছে বিরোধীরা। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া পারফরম্যান্স অত্য়ন্ত দুর্বল। এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ লুকিয়ে রাখেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়। ২৮ অগাস্টের মঞ্চ থেকেই সোচ্চার হন তিনি। তাই এবার বিরোধীদের পালটা জবাব সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাখছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ, এক ইঞ্চি জমি ছাড়া যাবে না।এরপরেই দুই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আন্দোলনে জোর বাড়াচ্ছে শাসক দল। এটা খুব স্পষ্ট যে, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাঁকুনিতে নড়াচড়া শুরু শাসক দলের। আরজি কর ইস্যুতে বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ শানালেও কার্যত নিশ্চুপ ছিল শাসক শিবির।
এদিকে প্রতিদিন বাছাই করা কয়েকজন নেতা বিরোধিতার কথা বললেও, রাস্তায় নেমে পাল্টা বিরোধিতা সে অর্থে চোখে পড়েনি। এবার নিজ নিজ এলাকায় বিরোধীদের পাল্টা প্রচারের রাস্তা শুরু করছে তৃণমূল। গ্রামাঞ্চলে এই দায়িত্ব সামলাবে মূলত মহিলা সংগঠন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে সেই বার্তা দেওয়ার কাজ শুরু হবে, তেমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। এই প্রসঙ্গে সাংসদ ও বিধায়ক উভয়কেই নিজ নিজ এলাকায় রোজ প্রচার, জনসংযোগ করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, তৃণমূল হাইকম্যান্ডের এই নির্দেশ থেকে এটা স্পষ্ট যে, ঘরে বসে থাকার সময় নয়, জনপ্রতিনিধি বা সংগঠন পদাধিকারীদের বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের কর্মসূচির পাশাপাশি নেতাদের নিজেদের উদ্যোগী হবার বার্তাও দেওয়া হয়েছে একইসঙ্গে।
সঙ্গে এও বলা হয়েছে, শুধু বিরোধীরা যা বলছে তার পাল্টা প্রচার নয় একইসঙ্গে আমজনতাকে এও বোঝাতে হবে, সরকার মহিলা নিরাপত্তায় কি কাজ করেছে তাও। এর পাশাপাশি আর জি কর নিয়ে সরকারের ও দলের অবস্থান কি তাও প্রচার করতে বলা হয়। যদিও বিরোধীদের পালটা কটাক্ষ, রাজ্যের শাসক দলের নেতারা জনমত হারাচ্ছেন বুঝতে পেরেই ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন।